গুচ্ছে স্পট অ্যাডমিশনের দাবিতে ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মারকলিপি
গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে শূন্য আসনের বিপরীতে অপেক্ষমাণ তালিকার পরিবর্তে স্পট অ্যাডমিশনের দাবিতে চার বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন ভর্তিচ্ছুরা।
গতকাল রোববার এবং আজ সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, গুচ্ছে কেন্দ্রীয় মেধাতালিকা প্রণয়নের কারণে অপেক্ষমাণ তালিকা খুব একটা আগাচ্ছে না। এতে আমরা তুলনামূলক কিছুটা কম নম্বরধারীরা মানসিক চাপে রয়েছি। মেরিট সিস্টেম যদি আরো চালু থাকে তাহলে আমরা যারা সাবজেক্ট পাওয়ার যোগ্য তারা যোগ্য হয়েও বঞ্চিত হবো। মেরিট প্রক্রিয়া চালু থাকলে ভর্তি প্রক্রিয়া আরো দীর্ঘায়িত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, গুচ্ছের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এখনো চলমান। অনেকেই গুচ্ছে প্রাথমিক ও চূড়ান্ত ভর্তি থেকে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। সেখানে সাবজেক্ট পেলেই তারা চলে যাবে। ফলে গুচ্ছে আরও আসন ফাঁকা হবে। গুছে প্রাথমিক ও চূড়ান্ত ভর্তির বাতিলের হার বেড়ে গেছে। এখন যদি কেন্দ্রীয় মেরিট আরও চালু থাকে তাহলে তাদের নাম ও লিস্টে বারবার আসতে থাকবে। ফলে উক্ত আসনটি শেষ পর্যন্ত ফাঁকা থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এতে আমার মতো অনেক অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন এখানেই নষ্ট হয়ে যাবে।
তাদের দাবি, গুচ্ছের বর্তমান মেরিট সিস্টেম বন্ধ করে গুচ্ছ প্রকৌশল গুচ্ছের ন্যায় স্পট অ্যাডমিশনের মাধ্যমে গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক। এতে যার যেমন পজিশন সে সেরকম সাবজেক্ট পাবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের প্রয়োজন অনুসারে শূন্য আসনের বিপরীতে পাঁচ থেকে ছয় গুণ অথবা এর অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীকে একসাথে রিপোর্ট করতে বলবে। চূড়ান্ত ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদেরও স্পট অ্যাডমিশনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে।বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশান ভর্তি শেষ না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ বহাল রাখতে হবে। গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয় গুলো তাদের নিজেদের মতো করে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে সেখানে শূন্য আসনের সংখ্যা সাবজেক্ট সহ লেখা থাকবে।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রীয় পজিশন রেঞ্জ ঠিক করে দেবে। এরপর এই কেন্দ্রীয় পজিশনের মধ্যে যারা এই বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন করেছে তারা নির্দিষ্ট সময়ে এসে রিপোর্ট করে যাবে। গুচ্ছ ভর্তিতে এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে গুচ্ছের ভর্তি দ্রুত শেষ হবে এবং শতভাগ আসন পূরণ হবে। এতে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে এবং মানসিক চাপমুক্ত হবে।