দুই মাসে একবার সাত কলেজের ‘ক্লাসে উপস্থিতির তথ্য’ জানতে চায় ঢাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিতির তথ্য প্রতি এক মাস পরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রয়ক মো. বাহালুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি কলেজগুলোকে পাঠানো হয়েছে।
সাত কলেজকে দেওয়া চিঠিতে ঢাবি বলেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারবাহিকতায় সম্মানিত শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর কলেজে উপস্থিতির তথ্যাবলী এক মাস পরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।
এদিকে, গেল কয়েকদিন থেকে সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে মানোন্নয়ন পরীক্ষা নিয়ে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশনের দাবিতে নীলক্ষেত মোড় ও প্রেসক্লাবের সামনে ধারাবাহিক কর্মসূচি করে আসছিলেন শিক্ষার্থীদের একটি অংশ।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, প্রথম বর্ষ থেকে দ্বিতীয় বর্ষে প্রমোশন পেতে সিজিপিএ-২ প্রয়োজন, দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় বর্ষে প্রমোশন পেতে সিজিপিএ ২.২৫ এবং তৃতীয় থেকে চতুর্থ বর্ষে প্রমোশন পেতে ২.৫ প্রয়োজন। তা না হলে আবারও আগের বর্ষে থাকতে হয়। তাই তারা এই সিজিপিএর শর্ত শিথিল করে তিন বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশনের দাবি জানান।
কিন্তু সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবি খুব একটা আমলে নেয়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য অধ্যাপাক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার জানান, সিজিপিএর শর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনড় অবস্থায় রয়েছে। তবুও তারা শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি নিয়ে ঢাবির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দেন।
সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে মানোন্নয়নের পাশাপাশি সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের আরও একটি দাবি ছিল ফল প্রকাশের দীর্ঘসূত্রতা দূর করার। অধ্যাপাক আব্দুল কুদ্দুস সিকদার জানিয়েছেন, ৮-৯ মাসে পরীক্ষার ফল প্রকাশের যে বিষয়টি শিক্ষার্থীরা সামনে এনেছেন আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি তা যৌক্তিক। এরপরেই আজ ঢাবির পক্ষ থেকে এ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।