কেন্দ্রীয় মেধাতালিকা নয়, স্পট অ্যাডমিশনের মাধ্যমে গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নের দাবি
কেন্দ্রীয় মেধা তালিকার মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করে স্পট অ্যাডমিশনের মাধ্যমে গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। চতুর্থ মেধাতালিকায় ভর্তি শেষে এই প্রক্রিয়া চালুর দাবি দাবি জানিয়েছেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, গুচ্ছে কেন্দ্রীয় মেধা তালিকা প্রণয়নের কারণে অপেক্ষমাণ তালিকা খুব একটা আগাচ্ছে না। এর ফলে তুলনামূলক কম নম্বরধারীরার মানসিক চাপে রয়েছেন। ৪র্থ মেরিটের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলাদাভাবে স্পট অ্যাডমিশনের মাধ্যমে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের ডাকলে সকলেই ভর্তির সুযোগ পাবেন।
তাদের মতে, মেরিট সিস্টেমের কারণে যারা ভর্তি হবে না বা ভর্তি হয়ে অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অপেক্ষা করছে তাদের নাম বারবার আসছে। এখনো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি চলমান। ফলে অনেকেই ভর্তি বাতিল করে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাবে। এতে গুচ্ছে আরও আসন ফাঁকা হবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শূন্য আসনের বিপরীতে ভর্তির জন্য স্পট এডমিশন প্রক্রিয়াকে ফলো করা হয়। এই প্রক্রিয়ার কারণে যারা প্রকৃতপক্ষে ভর্তি হতে ইচ্ছুক তারা ভর্তি চূড়ান্ত করে ফেলে। তবে মেরিট প্রক্রিয়া চালু থাকলে যারা ভর্তি হবে না তাদের নাম বারবার আসতে থাকবে। ফলে শেষ পর্যন্ত আসন ফাঁকা থাকার সম্ভাবনা রয়ে যাচ্ছে । এ কারণে ৪র্থ মেরিটের পর যে সিটগুলো ফাঁকা থাকবে সেই আসনগুলোতে ভর্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্পট এডমিশনের জন্য অনেক শিক্ষার্থীকে ভর্তির জন্য ডাকুক। তাহলে যার ভর্তি হওয়া খুব প্রয়োজন সে ভর্তি হবে। যার প্রয়োজন নেই সে আসবে না। এতে গুচ্ছের ভর্তি প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হবে। একইসঙ্গে আসনও ফাঁকা থাকবে না।
এ প্রসঙ্গে ইশফাকুন নিশা নামে এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী বলেন, আমি গুচ্ছ খ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছি। আমার মার্কস ৫৪.২৫। কেন্দ্রীয় মেরিট পজিশন কিছুটা দূরবর্তী হওয়ায় প্রচন্ড মানসিক চাপে আছি। ৪র্থ মেরিটের পর গুচ্ছ ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি প্রক্রিয়ার অনুরূপ করে ভর্তি নেয় তাহলে অনেক শিক্ষার্থী এতে উপকৃত হবে। অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের দ্রুত সাবজেক্ট পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। কেন্দ্রীয় মেরিট সিস্টেম অব্যাহত থাকলে আমরা সাবজেক্ট আদৌ পাবো কি না সেটা নিয়ে শঙ্কিত। কেন্দ্রীয় মেরিট সিস্টেম চালু থাকলে আমাদের সাবজেক্ট পেতে অনেক দেরি হয়ে যাবে।আবার অনেকে সাবজেক্ট পাওয়া থেকেও বঞ্চিত হবে। যারা সাবজেক্ট পাবে তারা ক্লাসের সাথে তাল মিলাতে কিছুটা কষ্টকর হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, এ সকল সমস্যা সমাধানের জন্য গুচ্ছ ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি প্রক্রিয়া অনুসরণ করার দাবি জানাচ্ছি। কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী চাচ্ছে কেন্দ্রীয় মেরিট আরো চালু রেখে ভর্তি প্রক্রিয়া আরো দীর্ঘায়িত করতে। এতে গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া আবারো প্রশ্নবিদ্ধ হবে। গুচ্ছ ভর্তি কমিটির কাছে অনুরোধ তারা যেন রিপোর্টিং সিস্টেমের মাধ্যমে ১০০ ভাগ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করেন।
তানজিল রহমান মুয়াজ নামে আরেক ভর্তিচ্ছু জানান, বক্তব্য, আমার কেন্দ্রীয় পজিশন একটু বেশি হওয়ায় শঙ্কিত আছি। কারণ গুচ্ছের কেন্দ্রীয় ১ম মেধা তালিকায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনেক দূর পজিশন পর্যন্ত সাবজেক্ট পেলেও ২ য়,৩য় এবং ৪র্থ মেরিটে খুব বেশি দূর পর্যন্ত টানেনি। এখনো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি চলমান। অনেক শিক্ষার্থী গুচ্ছে প্রাথমিক ভর্তি নিশ্চয়ন করে রেখেছে, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো সাবজেক্ট আসলেই তারা গুচ্ছ থেকে ভর্তি বাতিল করবে। এতে ফাঁকা আসনের সংখ্যা বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, যারা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অপেক্ষমাণ তালিকায় আছে তাদের গুচ্ছই শেষ ভরসা। মেরিট সিস্টেম হওয়ার কারণে যারা গুচ্ছে ভর্তি হবে না, বা সামনে বাতিল করে অন্য কোথাও চলে যাবে তাদের নাম লিস্টে বারবার আসছে। ফলে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা অন্যরা সুযোগ পাচ্ছেন না। এভাবে মেরিট প্রক্রিয়া চলমান থাকলে একটু দূরের পজিশনে থাকা শিক্ষার্থীরা আদৌ সাবজেক্ট পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত। এর থেকে গুচ্ছ ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি প্রক্রিয়ার সিস্টেমে গুচ্ছে ৪র্থ মেরিটের পর স্পট এডমিশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করলে অপেক্ষাকৃত কম মার্কসধারীদের দ্রুত সাবজেক্ট পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।