শিল্পকলায় আসছে বিশ্বের সর্বাধিক মঞ্চায়িত নাটক ‘দ্যা মাউসট্র্যাপ’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের পরিবেশনায় শিল্পকলার মঞ্চে আসছে বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক মঞ্চায়িত নাটক আগাথা ক্রিস্টির ‘দ্যা মাউসট্র্যাপ’। আগামী ১১ ও ১২ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে নাটকটি। নাটকটির নির্দেশনায় আছেন জবির বিভাগের প্রভাষক আফরিন হুদা।
আফরিন হুদা বলেন, নাটকটি রহস্যঘেরা এক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। প্রচলিত বাংলায় অনুবাদকের অত্যন্ত সহজ ও প্রাঞ্জল অনুবাদ অভিনেতাদের বোধগম্য করে তুলতে সাহায্য করেছে। হত্যা, খুনি, গোয়েন্দা, মানসিক বিকারগ্রস্ততা এসব কিছুর মাঝে এক জটিল ধাঁধার মধ্যদিয়ে নাটকের কুশীলববৃন্দ খুনের আসল রহস্য উদ্ঘাটন করে।
‘নাটকের প্রতিটি ধাপে নতুন পরিস্থিতি, সন্দেহ, অবিশ্বাস মানবমন ও অস্তিত্বের এক জটিল সমীকরণ খোঁজার চেস্টা করে। জটিল ও দ্বান্দিক প্রশ্নের উত্তরের এই নাটকীয় উপস্থাপনা দর্শকদের মনস্তত্তের গভীরে পৌঁছে এক স্নায়বিক আলোড়ন সৃস্টি করেছে।’
‘কুইন অফ ক্রাইম’ খ্যাত লেখক আগাঁথা ক্রিস্টি রচিত নাটকটির অনুবাদ করেছেন অধ্যাপক আব্দুস সেলিম। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন রাফিউল রকি, বিলাস, তৌফিক মেসবাহ, ইব্রাহিম, ব্রততি, বুশরা, তূর্ণা, ইমাম, সাগর, তানভীর, মুন্না, রাখি, পৃথা, শুভ্রা, সুব্রত, কৈসর, অনন্যা, পিংকি, কেয়া।
এছাড়াও নাটকে আবহ সঙ্গীত পরিকল্পনা ও প্রয়োগে ইনজয়; পোশাক পরিকল্পনা সহযোগী মৌ, সাবিহা, বৃষ্টি, কর্ণা; আলোক প্রক্ষেপণ সহযোগী মাহাবুব, রঞ্জন; সেট নির্মাণে রঞ্জন, নোভা, আনোয়ার, কাঁকন, সাকিব, অথৈ; প্রপস নির্মাণে উচ্ছ্বাস, ফিজা, সিফাত, বিথু, মীম, সৌমিক, বাবলু; প্রকাশনায় সিয়াম; অঙ্গরচনায় নিশা, অনামিকা, সোমালি, প্রিয়তী, স্বপ্নিল, কর্ণা।
প্রসঙ্গত, আগাঁথা ক্রিস্টি রচিত ‘দ্যা মাউসট্র্যাপ’ নাটকটির পূর্ববর্তী নাম ছিল ‘থ্রি ব্লাইন্ড মাইস’। নাটকটি প্রথমে একটি রেডিও নাটক হিসেবে প্রচলিত ছিল। রাজা পঞ্চম জর্জের স্ত্রী কুইন মেরির ৮০তম জন্মদিনের উপহার হিসেবে আগাঁথা ক্রিস্টি নাটকটি লিখেছিলেন। ১৯৪৭ সালের ৩০ মে নাটকটি প্রথম রেডিওতে ব্রডকাস্ট করা হয়। তখন থ্রি ব্লাইন্ড মাইস নামে আরো একটি নাটক প্রচলিত থাকায় আগাঁথা ক্রিস্টি নাটকটির নাম বদলে ‘দ্যা মাউসট্র্যাপ’ নামকরণ করেন।
নাটকটি মূলত লন্ডনের কালভার্ট স্ট্রিটে ভিড়ের মধ্যেই সংগঠিত হওয়া একটি হত্যাকাণ্ড নিয়ে। হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হওয়ার কিছুক্ষণ সময় এর মধ্যেই পাঁচজন অদ্ভুত লোক কাকতালীয়ভাবে-একইদিনে, একজন দম্পতির নতুন খোলা গেস্টহাউসে এসে ওঠে।
এরপরের দিনই একজন পুলিশ সার্জেন্ট সেই গেস্টহাউসে আসে এবং আবিষ্কৃত হয় অতিথিদের মাঝে একজন খুনি রয়েছে। ভয়ে, আতঙ্কে প্রত্যেক চরিত্র একের পর এক তাদের বিভীষিকাময় অতীত প্রকাশ করে।