আইনবহির্ভূত সিদ্ধান্তে অনড় প্রশাসন, পঞ্চম দিনে সাংবাদিকদের অবস্থান
সংবাদ প্রকাশের জেরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি ও ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ইকবাল মনোয়ারকে আইনবহির্ভূত বহিষ্কার প্রত্যাহারের দাবিতে অব্যাহত রয়েছে অবস্থান কর্মসূচি। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) টানা পঞ্চম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকরা।
এ দিন বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অবস্থান করেন তারা। তবে, এখনো আইনবহির্ভূত এ সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এসময় তারা ‘আইনবহির্ভূত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার কর’, ‘পেশাগত কাজের জন্য কেন ছাত্রত্ব হারাবে, জবাব চাই দিতে হবে’,‘দুর্নীতি রুখে দাও, রুখতে হবে’, ‘স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিত কর’, ‘উচ্চ পর্যায়ের সভা কোন আইনে স্বীকৃত? প্রশাসন স্পষ্ট করো’, ‘দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়া দুর্নীতি নয় কি?’, ‘আইনবহির্ভূত সিদ্ধান্ত মানবো কেন?’, ‘স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করো, করতে হবে’, ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মুহা. মহিউদ্দিন মাহি এবং সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ইউসুফ আকাশের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিনিধি জান্নাতুল ফেরদৌস, দৈনিক শেয়ার বীজের প্রতিনিধি শাহীন আলম, মানবকণ্ঠের প্রতিনিধি জুবায়ের রহমান, দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিনিধি মো. হাবিবুর রহমান। দৈনিক মানবজমিনের প্রতিনিধি সাঈদ হাসান, ভোরের ডাক প্রতিনিধি রকিবুল হাসান, দৈনিক আনন্দবাজারের প্রতিনিধি চাঁদনী আক্তার, দেশ রূপান্তরের প্রতিনিধি নাঈমুর রহমান রিজভী।
এছাড়াও দৈনিক নয়া দিগন্তের কুবি প্রতিনিধি মানসুর আলম, আমাদের নতুন সময়ের প্রতিনিধি হাসান আল মাহমুদ, আজকের দৈনিকের প্রতিনিধি তুষার ইমরান, বাংলাভিশনের প্রতিনিধি মুরাদুল মুস্তাকিম, স্বদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি মোহাম্মদ রাজীব, রাইজিং বিডি প্রতিনিধি হেদায়েতুল ইসলাম নাবিদ, অধিকারপত্রের প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম ও ডেইলি দর্পনের প্রতিনিধি হোসাইন মোহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৩১শে জুলাই উপাচার্যের বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার দায়ে গত ২ আগস্ট সাংবাদিক সমিতির অর্থ সম্পাদক ও যায়যায়দিনের প্রতিনিধি ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।