বিয়ের মাস না পেরোতেই ‘ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে’ ইবি ছাত্রীর মৃত্যু
সাভারে ছয়তলা বাড়ির ‘ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে’ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে আশুলিয়ার পলাশবাড়ীর নামাবাজারের বিজয়নগর সড়কের আব্দুর রহিমের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই ছাত্রীর নাম নওরীন নুসরাত। ২৬ বছরের নুসরাত ইবির ‘ল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বিভাগের সভাপতি সাহিদা আখতার জানান, নওরীনের পারিবারিক সূত্রে জানতে পেরেছি, সে তার স্বামীর সঙ্গে সাভারে থাকতো। যতটুকু জানতে পেরেছি, সেখানে ছয়তলা থেকে পড়ে মারা গেছে। নওরীনের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তার আগে থেকেই মেন্ট্রাল স্ট্রেস ছিল।
জানা গেছে, নওরীন টাঙ্গাইলের ইসলামবাগ গ্রামের খন্দকার নজরুল ইসলামের মেয়ে। তার স্বামী ইব্রাহিম খলিল চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার কলাকান্দা গ্রামের মৃত জহিরুল আলমের ছেলে। গত ২১ জুলাই পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তার মৃত্যু আত্মহত্যা বলে দাবি করেছে পুলিশ ও পরিবার। এ ঘটনায় নওরীনের পরিবার থানায় কোনও অভিযোগ দেয়নি। এমনকি তারা বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ দাফনের দাবি করেন। তবে পুলিশ ময়নাতদন্ত ছাড়া তা দিতে রাজি হয়নি।
এদিকে পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলেছে দাবি করেছে তার সহপাঠীরা। এ ঘটনায় নওরীনের স্বামী ইব্রাহিম খলিলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ।
ওই বাড়ির ম্যানেজার ফারুক হোসেন বলেন, ইব্রাহিম খলিল আমাদের বাড়িতে ছয় মাস ধরে ভাড়া রয়েছেন। শুনেছি, গত ২১ জুলাই বিয়ে করেছেন। এরপর ১৫ দিন হলো ইব্রাহিম তার স্ত্রী নওরীনকে নিয়ে বাসায় ওঠেন। মঙ্গলবার বিকালে হঠাৎ বাড়ির ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন নওরীন। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাবিব ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশকে জানানো হলে মরদেহ থানায় নিয়ে যায়।
আশুলিয়া থানার এসআই জিএম আসলামুজ্জামান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ নেই। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে, তাও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।