ভারি বর্ষণে ডুবে গেছে বিএম কলেজ ক্যাম্পাস, পানি ঢুকেছে দুই ছাত্রাবাসে
বরিশালে ভারি বৃষ্টি হওয়াতে জলাবদ্ধতায় বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের সকল সড়ক ডুবে গেছে। আর পানি ঢুকেছে কলেজের ফ্লাইট সার্জেন্ট ফজলুল হক (মুসলিম) হল এবং কবি জীবনান্দ দাশ (হিন্দু) হলের কয়েকটি কক্ষে।
আজ মঙ্গলবার ( ৮ আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিএম কলেজের সকল সড়ক হাঁটু সমান পানিতে ডুবে গেছে। হাঁটু সমান পানি পাড়ি দিয়েও ক্লাস করছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও দেখা গেছে বিএম কলেজ মহাত্মা অশ্বিনী কুমার ডিগ্রি হলের এ-ব্লক, বি-ব্লক, সি-ব্লক ও ডি-ব্লকের সামনেও পানি জমা হয়ে গেছে।
সরেজমিনে আরো দেখা যায়, ফ্লাইট সার্জন ফজলুল হক (মুসলিম) হল এবং কবি জীবনানন্দ দাশ (হিন্দু) হলের কয়েকটি কক্ষের ভিতরে পানি উঠে গেছে। হলের চারপাশে ময়লা আবর্জনা থাকায় এর অধিকাংশ পানিই নোংরা।
কবি জীবনানন্দ দাশ হল থেকে অনার্স প্রথম বর্ষ ( ২০২১-২২ সেশন) একাউন্টিং বিভাগের শিক্ষার্থী সুজন চৌদুরি জানান, ভারি বৃষ্টিপাত হওয়াতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে আমাদের হলের কয়েকটি কক্ষে বিষক্ত পানি উঠে গেছে। শুধু পানিই উঠে নাই, পানির সাথে কেচো, সাপ-বিচ্ছুসহ বিভিন্ন পোকা-মাকড় ও রুমে প্রবেশ করেছে। রুমে পানি প্রবেশ করায় আমরা রুমের সকল মালামাল খাটের উপরে রেখেছি এবং রাতের বেলা অন্য রুমে গিয়ে ঘুমিয়েছি। এই বুঝি সাপ রুমে ঢুকে কামড় দিল! রুমের চারো পাশে পানি থাকায় সারাক্ষণ ভয় নিয়েই থাকতে হচ্ছে ।
টিনের চালা দিয়ে রুমে পানি পরে, রুমের ভেতরসহ চারপাশে দূষিত পানি ময়লা আবর্জনার ব্যাপারে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে কিনা এই ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, আমরা হল থেকে অধ্যক্ষ স্যারকে বিষয়গুলো একাধিকবার জানিয়েছি। অধ্যক্ষ স্যার আমাদের প্রতিবারই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তবে এখন পর্যন্ত আমরা কোনো সমস্যার সমাধান পাইনি।
মুসলিম হলের অনিক নামের এক শিক্ষার্থী জানান, হলের চারপাশে পানি উঠে যাওয়াতে আমাদের হলের ডাইনিং বন্ধ হয়ে গেছে। ডাইনিং বন্ধ এবং রুমের চারপাশে দূষিত পানি পারি দিয়ে আমাদের বাহিরের বিভিন্ন হোটেল থেকে খাবার খেতে হচ্ছে যা অত্যন্ত কষ্টকর। কলেজ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, তারা যেনো দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দেন এবং আমাদের হলের ডাইনিং চালু করে দেন।
ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যাপারে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. গোলাম কিবরিয়া বলেন, কলেজের ভেতরে পানি যাতে দ্রুত শুকিয়ে যায় সেই ব্যবস্থা আমরা করতেছি। কিন্তু কলেজের বাইরের ড্রেনগুলো ময়লা আবর্জনায় আটকে থাকায় পানি নামতে পারছে না। যার ফলে ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কলেজের বাইরের সাইটের ড্রেনগুলো যেহুতু বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত। তাই ক্যাম্পাসের জলাবদ্ধতার বিষয়টি সিটি কর্পোরেশনকে জানিয়েছি। আশা করি, সিটি কর্পোরেশন এই ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।