ইবি প্রশাসনের প্রতি আস্থা নেই: কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি
পোষ্য কোটায় মার্ক ও শর্ত শিথিলসহ ১২ দফা দাবি নিয়ে সাংবাদ সম্মেলন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তা সমিতির ‘ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন’ কমিটি। এ সময় লিখিত বক্তব্যে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম এ দাবি জানান। এদিকে কর্মবিরতি অব্যাহত আছে এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
সোমবার (৭ আগস্ট) বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের উপাচার্যের সভাকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ইবি প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু হুরাইরা, দপ্তর সম্পাদক মুনজুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রচার, প্রকাশনা ও সাহিত্য সম্পাদক রাকিব হোসেন রেদওয়ান, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শাহেদুল ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমানুলঅ সোহানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ববিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ভোগকৃত পোষ্য কোটার সুবিধা ভোগ করে আসছে। জিএসটির এর অধীনে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষেও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের পোষ্যদেরকে ভর্তি করা হয়েছে। সে হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির মাধ্যমে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের আলোকে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পোষ্যদেরকে ভর্তি করতে হবে, কর্মকর্তা কর্মচারীদের চাকরি হতে অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভিস কণ্ডিশনের ৮(১) ধারা বাস্তবায়ন করতেো হবে, আই. সি. টি. সেলের উপ-রেজিস্ট্রার হাসিনা মমতাজ এর চাকুরী হতে অব্যাহতির প্রদানের গৃহীত অমানবিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে, আই. সি. টি সেলের টেকনিশিয়ান জনাব ইলিয়াস জোয়াদ্দার এবং হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এর শিক্ষকের সাথে ভুল বুঝাবুঝির মিমাংসাপত্র অনুযায়ী তার সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে জরুরীভাবে চাকরিতে যোগদানের ব্যবস্থা করতে হবে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সিনিয়র ইমাম মনিরুজ্জামান এবং শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সিনিয়র ইমাম বেলায়েত হোসেনগণের পদোন্নতি ও বাতিলকৃত উচ্চতর খেল প্রদান করতে হবে।
এ ছাড়া প্রকৌশল অফিসের ২জন প্রকৌশলী বাদশা মামুনার রশিদ ও নুর-এ আলমের পদোন্নতির সমস্যা সমাধান করতে হবে।বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরতাবস্থায় মৃত্যুজনিত কারণে কর্মচারীবৃন্দের পরিবারের যোগ্যতম ব্যক্তিকে সিণ্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মৃত্যুর ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যেই চাকুরী প্রদানের বিষয়টি বাস্তবায়নের বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, সিন্ডিকেটের অনুমোদিত কর্মচারীদের পদোন্নতি নীতিমালার বিশেষ টিকার আলোকে ১১ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে শাখা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি প্রদান করতে হবে, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় শিক্ষাগত যোগ্যতা বৃদ্ধির কারণে কর্মচারীদের অনর্জিত ইনক্রিমেন্ট প্রদান করতে হবে, পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরীক্ষার পারিশ্রমিক বৃদ্ধি করতে হবেঅন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় গাড়ী চালকদেরকে সাত ধাপের সুবিধা বাস্তবায়ন করতে হবে। সাধারণ কর্মচারীদের পদোন্নতি নীতিমালানুযায়ী বছরে চার বার পদোন্নতি/আপগ্রেডিং এর মাধ্যমে পদোন্নতি প্রদান করতে হবে।
এ টি এম এমদাদুল ইসলম বলেন, আমরা আমাদের নায্য দাবি উত্থাপন করেছি। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানাই। আর যেসব শিক্ষক-কর্মকর্তা কাজে ফাঁকি দেয় তাদের বিষয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছি উপাচার্যকে। তাদের নিয়োগ হওয়া শিক্ষার্থীদের সেবা দেওয়ার জন্য।
তিনি বলেন, এ প্রশাসন দাবি মেনে নেয় কিন্তু কোন একশান নেননা। আমাদের প্রশাসনের প্রতি আস্থা নেই। আমার কাছে একটা ব্যর্থ প্রশাসন মনে হয়েছে।