০৬ আগস্ট ২০২৩, ২৩:২৩

শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন   © টিডিসি ফটো

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁসের অভিযোগে লোক প্রশাসন ও সরকার পরিচালনাবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। 

রবিবার (৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ভাস্কর্যে মানববন্ধন শেষে স্মারকলিপি প্রদান করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এর আগে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে দেশ এবং বিদেশে কর্মরত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ১৫৭ শিক্ষার্থী উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। 

উপাচার্যের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন জনসংযোগ দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক এবং পিএস টু ভিসি এস.এম. হাফিজুর রহমান। উপাচার্যকে দেওয়া স্মারকলিপিতে সাবেক শিক্ষার্থীরা বলেন, উপাচার্যের অনুমতি ব্যতীত অডিও কল রেকর্ড ধারণ করে এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ শুনে সেই অডিও কল রেকর্ডটি সংগ্রহ করে আমরা তা শুনেছি। অডিও কল রেকর্ডটিতে শিক্ষার্থীদের মতের প্রতি অসহনশীল ব্যবহার এবং চরম অসন্তোষ স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়। এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবি জানান তারা।

এর আগে গত ১৮ জুন ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল খোলা রাখার দাবি নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তাঁকে না পাওয়ায় মেহেদীর ফোন থেকে কথা বলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সে সময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। সেই কথোপকথনের অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়। সে কারণেই মেহেদীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে কেনো স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবেনা তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং এই ঘটনায় অধিকতর তদন্তের স্বার্থে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিষ্কার আদেশের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করলে আসন্ন সমাবর্তন প্রত্যাখানের ঘোষণাও দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।