রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বকবির মহাপ্রয়াণ দিবস পালিত
মানুষের মৃত্যু নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, ‘মৃত্যু দিয়ে যে প্রাণের মূল্য দিতে হয়/ সে প্রাণ অমৃতলোকে/মৃত্যুকে করে জয়।’ অনবদ্য সৃষ্টির মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালির মণিকোঠায় ঠাঁই নিলেও মানব জীবনপথের যে পরিসমাপ্তি মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সেটাকে বরণ করেছেন কবি।
আজ সেই দিন, ২২ শ্রাবণ। বর্ষার এমনই দিনে ৮২ বছর আগে ১৯৪১ সালের ৬ আগস্ট, বাংলা ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ শ্রাবণ খসে পড়েছিল বাংলা সাহিত্যের এই সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রটি। মৃত্যুবরণ করলেও প্রাণ কবিতায় লিখা তাঁর “মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই” ইচ্ছাটি পেয়েছে পরিপূর্ণতা। তাঁর সাহিত্য রচনার মধ্যে দিয়ে বিশ্ববাসী তাকে আজও বাঁচিয়ে রেখেছে।
বিশ্বকবির ৮২তম মহাপ্রয়াণ দিবসটিকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করেছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহ্ আজম। এছাড়াও বিশ্বকবিকে নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
রবি উপাচার্য বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালি জাতিসত্তার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তিনি বাংলা সাহিত্যের একমাত্র নোবেল বিজয়ী। বাঙালি সংস্কৃতি বিনির্মাণে রয়েছে তাঁর অনন্য অবদান। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে কবির গান ও কবিতা মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা দিয়েছে; শক্তি যুগিয়েছে। তিনি আনাদের জাতীয় সংগীতের স্রষ্টা। এই মহান কবির স্মৃতিকে অম্লান করে রাখতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। কবির মহান সৃষ্টিকর্মকে বিদ্যায়তনিক চর্চার অন্তর্ভুক্ত করে নবীন প্রজন্মকে রবীন্দ্র ভাবধারায় আলোকিত করতে আমরা নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছি। কবির প্রয়াণ দিবসে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কবিকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্মাণ, রবীন্দ্র কবিতার চলচ্চিত্রায়িণ ‘বাঁশি’, সবশেষে সত্যজিৎ রায় কর্তৃক নির্মিত ডকুমেন্টারি ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’ প্রদর্শিত হয়।