০৬ আগস্ট ২০২৩, ২০:২১

সাংবাদিক মনোয়ারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে ইবিতে মানববন্ধন

মানববন্ধন কর্মসূচি  © টিডিসি ফটো

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (কুবিসাস) অর্থ সম্পাদক ও দৈনিক যায়যায়দিনের প্রতিনিধি রুদ্র ইকবালের বহিষ্কারাদেশের প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সাংবাদিকরা। আজ রবিবার (৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু হুরায়রা, দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি মঞ্জুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রচার সম্পাদক ও দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের প্রতিনিধি রাকিব হোসেন রেদোয়ান, জনকণ্ঠের প্রতিনিধি আজাহার ইসলাম, ডিবিসি টেলিভিশন প্রতিবেদক নাজমুল হোসেন, নয়া সপ্তাদীর প্রতিনিধি নুর আলম, আবির, খাদেমুল, নজরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কুবি উপাচার্য ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই ইকবাল মনোয়ারকে বহিষ্কার করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কুবি উপাচার্য দুর্নীতি করবে আবার এর পক্ষে সাফাই গাইবে আর সাংবাদিকরা তা লিখলেই তাদের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের মতো নেক্কারজনক পদক্ষেপ গ্রহন করবে এটা আমরা মেনে নিব না। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অতীতে কলম ধরেছি, বর্তমানেও ধরছি আর ভবিষ্যতেও কলম ধরবো। 

আরও পড়ুন: একাদশে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ, আবেদন তিন ধাপে

সাংবাদিকদের এ আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করেন শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের এই যৌক্তিক দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করছি।

প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু হুরাইরা বলেন, দুর্নীতির পক্ষে সাফাই গাওয়া বক্তব্যকে কোট করে নিউজ করায় তদন্ত কমিটি ছাড়াই কুবি সাংবাদিক ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি সংবিধান বহির্ভূত কাজ করেছেন উপাচার্য। এসময় বক্তা উপাচার্যকে এর জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। অতি শীঘ্রই উপাচার্যকে তার সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে এসে ইকবালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও হলের আবাসিকতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান । 

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের নবীনবরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন দুর্নীতির বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলে দেশে দুর্নীতির কারণে উন্নয়ন হচ্ছে না। কিন্তু আমি বলব উল্টো কথা। দেশে দুর্নীতি হচ্ছে বলেই উন্নতি হচ্ছে।’ উপাচার্যের এমন বক্তব্য সংবাদে তুলে ধরায় ২ আগস্ট (বুধবার) ইকবাল মনোয়ারকে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।