মেডিকেল সেন্টার রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা হবে: কুবি উপাচার্য
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন বলেছেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের সেবা রাত ৮টা পর্যন্ত করা হবে। সেজন্য ডাক্তারদের লজিস্টিক সাপোর্ট বৃদ্ধি করার কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে বেক্সিমকো'র সাথে স্পন্সরের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাদের সহযোগিতা করবে। এছাড়াও চিকিৎসা অবহেলায় যাতে কেউ মারা না যায় সেজন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি দেওয়া হবে।
রোববার (৩০ জুলাই) ১১টায় বিজ্ঞান অনুষদের হলে রুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ একলিমুর রেজা'র মৃত্যুতে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, তিনি ভদ্র, শান্ত ও শ্রদ্ধাশীল স্বভাবের মানুষ ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকের এক দিনের বেতন তার পরিবারকে প্রদান করা হবে। এবং আমার অধীনে নির্দিষ্ট একটি ফান্ড আছে, সেখান থেকে কিছু সাহায্য করা হবে। মরহুমের স্মৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শাহ একলিমুর রেজার নামে একটি ল্যাব তৈরি করা হবে। বিভাগে যে উপবৃত্তি প্রদান করা হয় এখন থেকে বৃত্তির নাম মরহুমের নামে হবে।
আরও পড়ুন: রাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার সাক্ষাৎকার শুরু ১৮ আগস্ট
এসময় পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী পলাশ হাসানের সঞ্চালনায় ও পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: আসাদুজ্জামান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. খলিফা মোহাম্মদ হেলাল।
উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির মরহুম শিক্ষককে স্মৃতিচারণ করে বলেন, শাহ একলিমুর রেজা অত্যন্ত বিনয়ী ও শান্ত স্বভাবের একজন মানুষ। সে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়েও নিজের মেধার মাধ্যমে আজ এখানে আসতে পেরেছেন। তিনি পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষ, তাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যতটুকু সম্ভব তার পরিবারকে সাহায্য করা হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মরহুম শাহ একলিমুর রেজার মা এবং পরিসংখ্যান বিভাগের সকাল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ। উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে মরহুম জনাব শাহ একলিমুর রেজার একটি ডকুমেন্টারি দেখানো হয়।
এদিকে গত ১৯ জুলাই মধ্যরাতে ব্রেইন স্ট্রোকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে এ ঘটনায় ৬ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।