২৮ জুলাই ২০২৩, ১২:৩৩

দেশে আইন বিশ্ববিদ্যালয় করার প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী

  © সংগৃহীত

দেশে আইন বিষয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং এই পেশায় বিশ্বমানের সেবা নিশ্চিত করতে আইন বিশ্ববিদ্যালয় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার (২৮ জুলাই) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে বঙ্গবন্ধুর স্মরণে নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু স্মারক স্তম্ভ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন।

এর আগে সুপ্রিম কোর্টের রেকর্ড রুম ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। এসময় প্রদর্শনী করা হয় মুক্তিযুদ্ধকালীন সুপ্রিম কোর্টে জাতির পিতা ও বিভিন্ন বিষয়ের ওপর তথ্য চিত্র। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি আইন বিশ্ববিদ্যালয় ও সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী ভবনের দাবি তোলেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন বিশ্ববিদ্যালয় করার নির্দেশ দিয়েছিলাম। এখানে আইনমন্ত্রী আছেন, আমি বলবো, এ বিষয়ে দ্রুত কাজ করা দরকার। এটি আমরা করে দেবো। বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উঠে এসেছে। সেজন্য তারা (আইন পেশার মানুষ) যেন দক্ষ হয়ে উঠতে পারে, বিশ্বমানের সেবা দিতে পারে সেজন্য আমরা আইন বিশ্ববিদ্যালয় করে দেবো, কথা দিচ্ছি।

তিনি বলেন, আইনজীবী ভবনও করে দিতে পারবো, কিন্তু এখনই নয়। তবে আবার সরকারে এলে এটি করে দেবো। এ মুহূর্তে সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা। প্রতিটি ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হচ্ছি, মিতব্যয়ী হচ্ছি। তারপরও মানুষের চাহিদা পূরণ করছি।

এসময় আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে এটি আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। আপনারা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে এ স্মারক স্তম্ভ করেছেন। আজকে আমাকে এখানে আমন্ত্রণ করেছেন। পরবর্তী প্রজন্ম এ থেকে তার (বঙ্গবন্ধু) ইতিহাস জানবে। এক সময় তো জাতির পিতার স্মৃতিচারণও নিষিদ্ধ ছিল। আমরা সে পথ প্রশস্ত করেছি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

বঙ্গবন্ধু স্মারক স্তম্ভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। স্বাগত বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে সরকারের একাধিক মন্ত্রী, প্রধান বিচারপতিসহ আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, সাবেক বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।