সংবাদ প্রকাশের জেরে পাবিপ্রবিতে সাংবাদিককে পেটাল ছাত্রলীগ

হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আহত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুন
হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আহত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুন

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাংবাদিককে বেধড়ক পিটিয়েছে  বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার (২৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুন দৈনিক নয়া শতাব্দীর পাবিপ্রবি প্রতিনিধি ও পাবিপ্রবি প্রেসক্লাবের যুগ্ম-আহ্বায়ক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকরা জানিয়েছে, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে এর আগেও সাংবাদিকদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিতো ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। সর্বশেষ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাংবাদিককে ছাত্রলীগ মারধর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে একটি প্রতিবাদ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব। প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব দুর্জয় কুমারকে ক্যাফেটেরিয়ায় আটকা রাখেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এমন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যান আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ সময় মামুনকেও আটকে রেখে প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও প্রেসক্লাবের বিষয়ে জানতে চান নেতাকর্মীরা।

এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বেধড়ক পেটায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম প্রান্থ, সাবেক সহ-সভাপতি মাসুদ রানা সরকার, সাবেক প্রচার সম্পাদক ইকরামুল ইসলাম সাগর, তৌফিকুল ইসলাম হৃদয়সহ ২০-২৫ জন নেতাকর্মীরা।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক জানায়, ঘটনার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সহযোগিতা চাইলে তিনি এসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ ও প্রেসক্লাব নিয়ে সাংবাদিকদের জেরা করতে থাকেন। পরে প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব দুর্জয় কুমারকে দিয়ে একটি অভিযোগপত্রে জোর করে স্বাক্ষর রেখে তাদের মুক্তি দিলে আহত মামুনকে নিয়ে হাসপাতালে যান তার সহকর্মীরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. মো. কামাল হোসেন বলেন, প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব দুর্জয় কুমার আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। এ সময় আব্দুল্লাহ আল মামুন আমার কাছে এসে তাকে মারধরের অভিযােগ করেন কিন্তু আমি তাকে বলেছি লিখিত আকারে অভিযোগ দিতে। লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে দেখা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু বলেন, কোনো সাংবাদিককে মারধরের বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে সাংবাদিকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে এমনটি হতে পারে।

পাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, মারধরের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমাদের তো নিরাপত্তা কর্মকর্তা আছে। বললে তারাও দেখবে বিষয়টি। তারপরও আমি এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছি।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence