১৯ জুলাই ২০২৩, ১৫:৩৯

কুবিতে কমেছে বাজেট, বেড়েছে গবেষণায় বরাদ্দ

কুবি  © টিডিসি ফটো

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটে ২ কোটি ৮ লাখ ৯২ হাজার টাকা হ্রাস পেয়েছে। তবে গবেষণা খাতে বরাদ্দ ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

অর্থ ও হিসাব দপ্তরের সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ছিল (সংশোধিত) ৬৩ কোটি ৩৮ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা। এ বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬১ কোটি ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে গবেষণা খাতে বাজেট ছিল ১ কোটি ৭২ লাখ টাকা, যা এ বছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের চাইতে ২৮ লক্ষ টাকা বেশি। তবে গত অর্থ বছরের মোট বরাদ্দের পাঁচ থেকে সাত লক্ষ টাকা ব্যয় করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা। এছাড়াও উদ্ভাবন খাতে ধার্যকৃত ২ লক্ষ টাকার সম্পূর্ণটাই ব্যয় করতে পারেনি।

আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল ২৮ জুলাই

এর আগে গত ১৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ তম সিন্ডিকেট সভায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬১ কোটি ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে বেতন ভাতা বাবদ ৩৯ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা, পণ্য ও সেবা বাবদ ১৪ কোটি ৯৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা, গবেষণা বাবদ ২ কোটি টাকা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ৬ লক্ষ টাকা, পেনশন ও অবসর সুবিধা ৮ লক্ষ টাকা, মূলধন বাবদ ৪ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা, অন্যান্য অনুদান বাবদ ১৬ লক্ষ টাকা। তবে ভবন সংস্কার বা মেরামত বাবদ কোন বাজেট রাখা হয়নি।

এদিকে গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন দি ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, “আমি চাইবো গবেষণার টাকাটা যেন যথোপযুক্ত ব্যবহার হয়। আর যথোপযুক্ত ব্যবহার হলে প্রতিবছরই গবেষণার বরাদ্দ বাড়তে থাকবে। গবেষণাগুলো পাবলিকেশন পর্যন্ত যাক। যদি গবেষণা করার পর ভাল জার্নালে পাবলিকেশন হলো না তখন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন লাভ হবে না।

আমি আসার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা বাড়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেছি। যার ফলে মানুষের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া যে গবেষণার কোন ইমপ্যাক্ট নাই সে গবেষণা আমরা করতে চাই না। যেটা হিউম্যান ওয়েলফেয়ারে কাজ হবে, কমিউনিটির উন্নয়নে কাজ হবে এবং দেশের ডেভেলপমেন্টের কাজে আসবে এমন গবেষণা করবো।”

তিনি আরও বলেন, যারা পাবলিকেশন করবে তাদেরকেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ফান্ড থেকে সম্মানী দেওয়া হবে। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার জন্য যা যা করা দরকার সব করব।