শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে গাছ লাগাতে দিলেন শিক্ষক
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের দু’টি ব্যাচের অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন করা হয়েছে গাছ লাগানোর মাধ্যমে। পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সামাজিক দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন করার প্রয়োজনীয়তা থেকেই ভিন্নধর্মী এ উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান বিভাগটির সহকারী অধ্যাপক তারিফুল ইসলাম।
সোমবার (১৭ জুলাই) বিভাগটির ২০১৮-১৯ এবং ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা দু’টি কোর্সের অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে ৪০টি ঔষধি, ফলদ ও বনজ বৃক্ষ রোপণ করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যবর্ধন কমিটির সদস্য সচিব দ্রাবিড় সৈকত ও বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট মাসুম হাওলাদার।
দর্শন বিভাগের শিক্ষক মো. তারিফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধনসহ নানা কারণে বৃক্ষের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই চিন্তা থেকেই শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্টের অংশ হিসেবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের বেশ কিছু সাব-অর্ডিনেট কোর্স রয়েছে যেগুলো পরিবেশের সঙ্গেও সম্পৃক্ত। যেমন একটা ব্যাচের কোর্স হলো- গ্লোবালিজম এন্ড কারেন্ট গ্লোবাল ইস্যুজ। আমি তাদেরকেও বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যার অ্যাসাইনমেন্ট দিয়েছি। শিক্ষার্থীরা গাছ লাগানোর পাশাপাশি পরিচর্যার জন্য বেড়া ও খুঁটি দিয়ে সুন্দরভাবে ব্যবস্থা করেছে। সে অনুযায়ী মার্কসও পেয়েছে। এভাবেই ক্যাম্পাসে সবুজায়ন ঘটানো সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, পরিবেশকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, প্রত্যেক মানুষকেই নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য হলেও বৃক্ষরোপণ করতে হবে। কারণ গাছই আমাদের জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন সরবরাহ করে পরিবেশকে শীতল রাখে। এই বর্ষা মৌসুমে আমি প্রত্যেককে বৃক্ষরোপণ করতে আহবান করবো। আমাদের উচিত বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পরিবেশকে সুন্দর রাখা।
দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কোবরা জুথি বলেন, আমরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ফল ও ঔষধি গাছ রোপণ করেছি। গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারণে পরিবেশ আস্তে আস্তে দূষিত হচ্ছে। আমরা যত বেশি গাছ লাগাবো, ততো বেশি আমাদের পরিবেশ সুন্দর হবে। আমরা সতেজ বায়ুতে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করতে পারবো।