নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মোটরসাইকেল চুরি, মামলা নিতে পুলিশের অনীহা
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় মামলা করতে গেলে ওই শিক্ষার্থীর মামলা নিতে অনীহা প্রকাশ করে ত্রিশাল থানা পুলিশ। পরবর্তীতে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে চাইলেও অস্বীকৃতি জানায় পুলিশ।
গত ১২ জুলাই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থী বাবলু মিয়া কোভিড-১৯ টিকা নিতে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। হাসপাতালে ঢুকে বের হতে হতেই তার সাথে নিয়ে আসা মোটরসাইকেলটি চুরি হয়ে যায়।
প্রবেশের ১২ মিনিট পর বাইরে এসে মটরসাইকেলটি খুঁজে না পেয়ে ওই শিক্ষার্থী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেন। তার প্রবেশের ৮ মিনিটের মাঝেই মোটরসাইকেল নিয়ে এক যুবককে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে হাসপাতালের সামনের সিসিটিভি ক্যামেরা নষ্ট থাকায় চোরকে শনাক্ত করতে পারেন নি তিনি।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ
এদিকে বাইক চুরির চারদিন পেরিয়ে গেলেও মামলা নেয়নি ত্রিশাল থানা পুলিশ। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগ, ‘আমি মামলা করতে চাইলে আমাকে থানা থেকে বলা হয়েছে অজ্ঞাতনামা মামলা করে কি করবেন? পরবর্তীতে জিডি নিতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছিলো ত্রিশাল থানা পুলিশ।’
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আরও জানায়, ‘আমি মোটরসাইকেল শনাক্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে ত্রিশাল থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) আনিস আমাকে বলেন, পুলিশের কাছে যাদুর চেরাগ নাই যে আপনার মোটরসাইকেল বের করে দিবে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোর শনাক্ত করে নিয়ে আসেন। তারপর আমি আসামী ধরবো।’
তবে ঘটনার সত্যতা জানতে এসআই আনিসের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ‘আমি এসব কিছু বলিনি। আমি বলেছি থানায় এসে মামলা করেন। আমি তো আসলে মামলা নেইনা, ওসি স্যার নেয়।’
এদিকে মামলা না নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইন উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশ তো মামলা করবে না । ১৭ তারিখ এসে মামলা করতে পারবে।’
মোটরসাইকেল চুরি হয়ে যাওয়ার চারদিন পেরিয়ে গেলেও মামলা না নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবস্থান জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, ‘মোটরসাইকেল চুরি হলে সাধারণত থানায় মামলা নেয় না। তবে অভিযোগ বা জিডি গ্রহণ করে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এবং থানায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে আমার কথা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে’