২১ জুন ২০২৩, ১৯:১৭

নীলক্ষেত মোড় ছাড়েনি আন্দোলনকারীরা, এলাকাজুড়ে তীব্র যানজট

রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে রেখেছে আন্দোলনকারীরা  © টিডিসি ছবি

সাড়ে চার ঘন্টা ধরে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে রেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা৷ আজ বুধবার (২১ জুন) দুপুর ২টার পর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা৷ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা৷ দীর্ঘ সময় নীলক্ষেত অবরোধ করে রাখায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে৷ ফলে আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে৷

এর আগে দুপুর ১২টায় নিউমার্কেটের বলাকা সিনেমা হলের সামনে জড়ো হয় তারা৷ পরে সাত কলেজের শিক্ষকরা এসে আলোচনার জন্য শিক্ষার্থীদের ইডেন কলেজের সামনে নিয়ে আসে৷ শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক (ফোকাল পয়েন্ট) অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের সাথে দেখা করতে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে প্রবেশ করে৷ আন্দোলনরত অন্য শিক্ষার্থীরা ইডেন কলেজের সামনে অবস্থান করে৷ আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের ছয়টি দাবি মেনে নিলেও একটি মানেনি প্রশাসন৷ তাই এক দফা দাবিতে ইডেন কলেজের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে নীলক্ষেত মোড়ে এসে অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি না মানা পর্যন্ত তারা সড়ক ছাড়বেন না৷ এর আগে গতকালও নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেছিলো সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা৷ 

এদিকে শিক্ষার্থীদের সরে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার অনুরোধ জানান নিউমার্কেট জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি)  শাহেন শাহ্ মাহমুদ। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের অবরোধের ফলে পুরো এলাকা জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে এবং জনভোগান্তি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দাবি গুলো বিবেচনা করতে সাত কলেজের শিক্ষক ও সমন্বয়কের সাথে কথা বলেছি। শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় যেসব বিষয়ে জানানোর সেগুলো তারা বলছেন। আমরাও প্রত্যাশা করছি দ্রুতই সমাধান আসবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবিগুলো হলো—

১) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের হয়রানির কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে;

২) যে সকল শিক্ষার্থী পরবর্তী বর্ষের ক্লাস, ইনকোর্স পরীক্ষা ও টেস্ট পরীক্ষা পর্যন্ত  অংশগ্রহণ করার পর জানতে পেরেছেন নন-প্রমোটেড তাদের সর্বোচ্চ ৩ বিষয় পর্যন্ত  মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষের ফাইনাল  পরীক্ষার  সুযোগ দিতে হবে।

৩) সকল বিষয়ে পাশ করার পরও একটা স্টুডেন্ট সিজিপিএ সিস্টেম এর জন্য নন প্রোমোটেড হচ্ছেন।   সিজিপিএ শর্ত শিথিল করতে হবে;

৪) বিলম্বে ফলাফল প্রকাশের কারণ ও এই সমস্যা সমাধানে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে।  সর্বোচ্চ তিন মাস ( ৯০ দিনের মধ্যে) ফলাফল প্রকাশ করতে হবে;

৫) সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে  অভিভাবক কে/কারা? কোথায় তাদের সমস্যাসমূহ উপস্থাপন করবে ? তা ঠিক করে দিতে হবে। 

৬) একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রনয়ণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। 

৭) শিক্ষক সংকট, ক্লাসরুম সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।