১৬ জুন ২০২৩, ০৯:৫৩

কড়া তল্লাশির মধ্য দিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করছেন ভর্তি পরীক্ষার্থীরা

শিক্ষার্থীদের নানা রকম তল্লাশির পর কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণী ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং কয়েক স্তরের তল্লাশির মধ্য দিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করছেন পরীক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১৬ জুন) সকাল সাড়ে নয়টায় পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করানোর কার্যক্রম শুরু হয়। এটি চলবে সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত। রাজধানী ঢাকার চৌদ্দটি কেন্দ্রে একযোগে সকাল ১১টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। 

সরেজমিনে ঢাকা কলেজ কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ফটকের সামনে পরীক্ষার্থীদের দীর্ঘ লাইন। ভেতরে প্রবেশ করার জন্য পুরুষ ও মহিলা আলাদা দুটি সারিতে চলছে তল্লাশি কার্যক্রম। প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সবার মুখে মাস্ক রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার পরই ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং যেকোনো প্রকার অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে প্রতিটি কেন্দ্রের সামনে ও ভেতরে পর্যাপ্ত পুলিশের উপস্থিতিও দেখা গেছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে গেট গুলোতে প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র শিক্ষক,  অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক সহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরও দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।

ঢাকা কলেজ কেন্দ্রে দায়িত্বপালন-রত কর্মকর্তা সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার মাহমুদ বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরীক্ষা নিতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের নির্দেশনা মানা হচ্ছে। সে অনুযায়ী পরীক্ষা কেন্দ্রে বই-পুস্তক, সকল প্রকার ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, সকল ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড সদৃশ কোন ডিভাইস, গহনা ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ| এসব নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ কোন প্রার্থীকে পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছেনা।

তিনি আরও বলেন,স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য যে সকল ব্যবস্থা প্রয়োজন সবগুলোই করা হয়েছে। কলেজের মূল প্রশাসনিক ভবন, আইসিটি ভবন, উদ্ভিদবিদ্যা ভবন ও লে. শেখ জামাল একাডেমিক ভবনে পরীক্ষার্থীদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানানো হয়েছে , এবছর সাত কলেজের তিনটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন জমা পড়েছে মোট ১ লাখ ১ হাজার ২৯ টি। এর মধ্যে বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ৩৮ হাজার ৪৯৫ জন, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ ৩৭ হাজার ২৮২ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে  ২৫ হাজার ২৫২ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন।

ঢাকা কলেজ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  সহযোগী অধ্যাপক ওবায়দুল করিম বলেন, প্রার্থী কোনো অবস্থাতেই পরীক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, বই ও কাগজপত্র (প্রবেশপত্র ছাড়া), ইলেক্ট্রনিক
ডিভাইস সংবলিত ঘড়ি ও কলম, ভিসা / মাস্টার কার্ড / এটি এম কার্ড ইত্যাদি নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। কঠোর তল্লাশি নিশ্চিত করেই পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া করোনা বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মানাতেও নজর দিচ্ছি আমরা। আশা করি সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর ১৪টি কেন্দ্রে একযোগে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্র গুলো হলো— ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজ।

এছাড়াও গভর্নমেন্ট কলেজ অব এ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স (সাবেক হোম ইকনোমিক্স কলেজ) , আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, শেখ বোরহান উদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ,  ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল এন্ড কলেজ, উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয় এবং নীলক্ষেত উচ্চ বিদ্যালয়।