১৫ জুন ২০২৩, ১৬:৩১

বাকি টাকা ফেরত না পাওয়ায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বেরোবি ক্যাফেটেরিয়া

বেরোবি ক্যাফেটেরিয়া  © টিডিসি ফটো

ব্যবসায় লোকসান ও বকেয়া টাকা ফেরত না পাওয়ায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়া। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের একমাত্র নাস্তার স্থান ছিলো এ ক্যাফেটেরিয়া। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার বরাবর চিঠি দিয়ে আগামী ১০ জুলাই থেকে ক্যাফেটেরিয়া চুক্তি বাতিল ও বন্ধের জন্য চিঠি দিয়েছেন ক্যাফেটেরিয়া লিজ গ্রহীতা এসএস ক্যাটারিং কর্তৃপক্ষ।

চিঠিতে বলা হয়েছে, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও সাপ্তাহিক তিনদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় বিক্রি অনেক কমে গেছে। ভর্তুকির আবেদন করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনা কর কঠিন হয়ে পড়েছে।

এতে আরও বলা হয়, বর্তমানে ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে আগামী ১০ জুলাই থেকে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনা করা সম্ভব না। ‍ওই তারিখ থেকে চুক্তি বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাকি খেয়ে টাকা দেননি ছাত্ররা, নিঃস্ব হয়ে চবি ছাড়লেন অলিম

এর আগে গত ২৭ মার্চ ক্যাফেটেরিয়া লিজ গ্রহীতা এসএস ক্যাটারিংয়ের ব্যবস্থাপক সেলিম মন্ডল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর একটি চিঠি দেন। চিঠিতে তিনি বিদ্যুৎবিল ও ভাড়া মওকুফের আবেদন করেন। এ চিঠিতেও তেমন কোনো সাড়া পায়নি লিজ গ্রহীতারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড.নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ ছাড়াও তার ঘনিষ্ঠ কিছু শিক্ষক, কর্মকর্তা ও  শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে প্রায় আড়াই লাখ টাকা পাওনা রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া কর্তৃপক্ষ।

এখন দ্রব্যমূল্যের দাম বেশি, বিক্রি কম। আর ভর্তুকিও নেই, প্রতিদিন কেনা-বেচা শেষে দেখা যায় লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি। তাছাড়া আগের পাওনা তো আছেই। সবমিলে আমাদের আর পোষাচ্ছে না।

জানতে ক্যাফেটেরিয়া সহ-ব্যবস্থাপক মুকুল মিয়া বলেন, বর্তমানে ক্যাম্পাস তিন দিন বন্ধ থাকায় বেচা-কেনা একদম কমে গেছে। আর যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, তাতে প্রতিদিনই লস হচ্ছে। গত মে মাসের ০৮ তারিখ থেকে জুন মাসের ০৯ তারিখ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো লস হইছে। এভাবে আর চালানো যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, পাওনাগুলো ছিলো করোনা পর্যন্ত। পাওনাদারের বেশিরভাগই ক্যাম্পাসে নেই। তাদের কয়েকজনের সাথে পরে যোগাযোগ করেও সাড়া মেলেনি। এখন আর কেউ আগের মতো বাকি রাখে না বা ঝামেলাও করে না। এখন নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু লসের মুখে পরে আর ব্যবসা করা সম্ভব হচ্ছে না।

আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের বাকি ১০ লাখ, নিঃস্ব তারা মিয়া লিখলেন ‘বিদায়’

ক্যাফেটেরিয়া লিজ গ্রহীতা ও ব্যবস্থাপক সেলিম মন্ডল বলেন, এখন দ্রব্যমূল্যের দাম বেশি, বিক্রি কম। আর ভর্তুকিও নেই, প্রতিদিন কেনা-বেচা শেষে দেখা যায় লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি। তাছাড়া আগের পাওনা তো আছেই। সবমিলে আমাদের আর পোষাচ্ছে না। তাই ক্যাফেটেরিয়া ছেড়ে দিচ্ছি।

জানতে চাইলে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক সহযোগি অধ্যাপক ওমর ফারুক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ক্যাফেটেরিয়ার বিদ্যুৎ বিল ও ভাড়া দীর্ঘদিন থেকে বাকি ছিলো। লিজ গ্রহীতাদের কাছে এটি চেয়েছিলাম। পরে দেখি তারা ক্যাফেটেরিয়া চুক্তি বাতিলের জন্য আবেদন করেছেন।