মাদক সেবন দেখে ফেলায় বেরোবির ৬ শিক্ষার্থীকে মারধর
মাদক সেবন দেখে ফেলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছয় শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাত ১২টার বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সরদারপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় দুই শিক্ষার্থীকে রংপুর প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১৪তম ব্যচের (২০২১-২২ সেশন) শিক্ষার্থী চাঁদ ও মেহেদী। তাদের মধ্যে মেহেদী কানে কম শুনতে পাচ্ছেন। তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
আহতদের সহপাঠী ইমরান বলেন, রাত ১২টার পর বিদ্যুৎ চলে গেলে আমরা ৬ বন্ধু মেস থেকে বের হয়ে সরদার পাড়া মসজিদের পাশে আড্ডা দিচ্ছিলাম। পাশে আরেকটি স্থানীয় ছেলেরাও বসেছিলো। তারা মাদক জাতীয় কিছু সেবন করছিলো। একপর্যায়ে তাদের মধ্য থেকে মনির নামে একজন আমাদের দিকে এগিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করে ‘তোরা কে?’ ’এখানে কি করিস?
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয় দিলে আমাদের বলে তোরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেয়ে আড্ডা দিবি। এখানে কি করিস? এখানে আর আসবি না। এক পর্যায়ে স্থানীয় মনির মেহেদীকে থাপ্পর দিতে থাকে। তখন আমরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে মনিরের সাথে থাকা ১০/১২ জন ছেলে এসে আমাদের মারতে থাকে।পরে লাঠি নিয়ে আমাদের দিকে তেড়ে আসলে ওখান থেকে আমরা পালিয়ে আসি। কিন্তু চাঁদ ওদের হাতে আটকা পরে। পরে সিনিয়রদের সহায়তায় চাঁদকে উদ্ধার করি আমরা।
এ বিষয়ে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষক এস এম আশরাফুল আলম বলেন, গতরাতে শিক্ষার্থী আহত হওয়ার কথা শুনে তাদের সাথে দেখা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর স্যার ও পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে যেন দ্রুত দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, আহত শিক্ষার্থীদের মেডিকেলে দেখতে গিয়েছিলাম। তারা এখন মোটামুটি সুস্থ আছে।পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে যেন দ্রুত অপরাধীকে শাস্থি দেয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
বেরোবি পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মারুফ জানান, শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় আমরা রাতেই অভিযান পরিচালনা করেছি। এখনো চলছে। তবেএখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।