০৬ জুন ২০২৩, ১৪:২৬

চা খাওয়ার কথা বলে হলে ফেরেননি প্রভোস্ট, রাতভর ছাত্রীদের অবস্থান

হলের সামনে রাস্তায় শিক্ষার্থীদের অবস্থান  © টিডিসি ফটো

নানান সমস্যা নিয়ে আন্দোলন করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শেখ হাসিনা হলের আবাসিক ছাত্রীরা। এসময় দাবি আদায় না হওয়ায় হলের অভ্যন্তরে গেটের সামনে তিন ছাত্রী সারারাত অবস্থান করেন। গতকাল সোমবার (৫ জুন) রাত ১০টায় হলের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন তারা। এসময় হল প্রভোস্ট আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের হলে ভেতরে অবস্থান করতে বলেন।

পরে ছাত্রীরা হলের ভেতরে অবস্থান নেন। হল প্রশাসন এবং ছাত্রীদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়। কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় অন্যান্য শিক্ষকরা সেখান থেকে চলে যান।

জানা যায়, প্রশাসনের পক্ষ থকে তালা ভেঙ্গে হলের কক্ষে প্রবেশ, আবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ হলের নানা সমস্যা নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন হলের ছাত্রীরা। এ আন্দোলনের খবর পেয়ে রাতে হলের প্রভোস্ট মো. সাহেদুর রহমান মেয়েদের সাথে তাদের অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে আসেন। প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত হন।

হলের ছাত্রীরা জানায়, হলের প্রভোস্ট সাহেদুর রহমান ও কুবির সহকারী প্রক্টর কাজী এম. আনিসুল ইসলাম চা খাওয়ার কথা বলে হলের বাইরে গিয়ে হল গেটে তালা দিতে বলেন। এসময় হলের অভ্যন্তরে গেটের সামনে তিনজন শিক্ষার্থী সারারাত অবস্থান করেন। আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন খোঁজ নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।

শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় হল গেটে অবস্থান করেন তিন শিক্ষার্থীর

এ বিষয়ে শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা শান্তা বলেন, আমরা যখন হলের বাহিরে অবস্থান করি তখন প্রভোস্ট স্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়ে আমাদের হলের ভেতরে যেতে বলেন। আমরা যখন হল গেটের ভেতরে যাই তখন প্রশাসন আমাদের অভিযোগ মেনে নেয়নি।

কিছুক্ষণ পর তারা চা খাওয়ার কথা বলে আর ফিরে আসেনি এবং পরবর্তীতে আমাদের খোঁজও নেননি। আমরা এখন ভিসি স্যারের কাছে অভিযোগ নিয়ে যাব। যদি দেখা করতে না পারি তাহলে আমরা আবার হলের সামনে অবস্থান নিব।

শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট মো: সাহেদুর রহমান বলেন, আমরা সমাধানের জন্য গিয়েছি কিন্তু তাদের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না থাকায় সমাধান করা সম্ভব হয়নি। হল থেকে ইলেক্ট্রিক হিটার, রাইস কুকার উদ্ধার করতে যাই। এসময় একটি কক্ষের তালা ভেঙ্গে রাইস কুকার উদ্ধার করা হয়। ছাত্রীরা অভিযোগ করে হল প্রশাসন তালা ভাঙ্গতে পারে কি না! আমরা তাদের বলেছি বিশেষ শর্তাবলির জন্য তালা ভাঙ্গা যায়।

আরও পড়ুন: চীনে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেলেন যবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থী

চা খাওয়ার কথা বলে ফিরে না আসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একথা বলিনি। যদি বলে থাকতাম তাহলে অবশ্যই আমি সেখানে যেতাম।

প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার হলের কয়েকটি রুম থেকে ইলেক্ট্রিক হিটার, রাইস কুকার উদ্ধার করতে গিয়ে কয়েকটি কক্ষের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে হল প্রশাসন।