শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অর্জনের আহবান শিক্ষা উপমন্ত্রীর
শিক্ষার্থীদের গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে ভিন্ন চিন্তা, সমাধান কেন্দ্রিক চিন্তা, সামষ্টিক চিন্তা এবং নানান বিষয়ের উপর নিজেদের দক্ষ করে তোলার আহবান জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি।
আজ সোমবার (৫ জুন) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ‘টেকনোলজি, বিজনেস এন্ড জাস্টিস’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের মানুষ তৈরির প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের উচিত কেবলই একাডেমিক পড়াশোনা নির্ভর না হয়ে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও খেলাধুলায় অংশ নেওয়া, বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করা। স্মার্ট ফিউচারের জন্য স্মার্ট সিটিজেন হতে অবশ্যই সহনশীল ও দক্ষ হওয়া প্রয়োজন। আর এ ধরনের সম্মেলনের মাধ্যমে সেই দক্ষতাগুলো অর্জন করা যায়। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের পরিবর্তন হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তন হবে এবং সামগ্রিকভাবে দেশের পরিবর্তন হবে।
কনফারেন্সের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো একটি গবেষণামনস্ক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একটা পরিবেশ চাই যেখানে জ্ঞানের চর্চা হবে, গবেষণা হবে। সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন এই তিনকে মোটো ধরে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। নতুন জ্ঞান সৃষ্টির প্রতি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অগ্রযাত্রা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. দুর্গাদাস ভট্টাচার্য, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রিয়াদ হাসান এবং রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। এছাড়াও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাপানের ইউনিভার্সিটি অব হাইয়োগোর ড. সিয়োজি কোবাসি, ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মারা মালয়েশিয়ার ড. হারটিনি সারিপান ও নেপালের কাঠমাণ্ডু ইউনিভার্সিটির ড. বিনোদ কৃষ্ণ শ্রেষ্ঠা।
দুদিন ব্যাপী এ কনফারেন্সে দেশ-বিদেশের গবেষকরা তাদের গবেষণা প্রকল্পগুলো উপস্থাপন করবেন। এবারের কনফারেন্সে ১৮৩টি জমা পড়া গবেষণা প্রস্তাবের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ৯২টি গবেষণা সারাংশ উপস্থাপনের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। কনফারেন্স শেষে প্রতিটি অনুষদের জন্য দুটি করে বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।