কুবিতে সাংবাদিক হেনস্তার প্রতিবাদ ও বিচার দাবি জবিসাসের

কুবিতে সাংবাদিক হেনস্তার প্রতিবাদে বিচার দাবি জবিসাসের
কুবিতে সাংবাদিক হেনস্তার প্রতিবাদে বিচার দাবি জবিসাসের

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহী ও তার অনুসারী কর্তৃক দৈনিক যায়যায়দিন এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (কুবিসাস) অর্থ সম্পাদক রুদ্র ইকবালকে হেনস্তার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (জবিসাস)।

বুধবার (৩১ মে) এক যৌথ বিবৃতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহমুদুল হাসান তানভীর ও সাধারণ সম্পাদক মামুন শেখ প্রতিবাদ জানান ও এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের হুমকি দেয়া সংবাদপত্রের স্বাধীনতার উপর নগ্ন হস্তক্ষেপের সামিল। অতীতেও এ ধরণের ঘটনার মাধ্যমে সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধের অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। মুক্ত সাংবাদিকতা চর্চার পথে বাধা সৃষ্টিকারী এ ধরণের ঘটনায় জবি সাংবাদিক সমিতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। তারা বলেন, সাংবাদিকদের সাথে ছাত্রলীগের এমন আচরণ স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি ক্যাম্পাস থেকে সন্ত্রাসবাদ রুখে দিয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতার পথ সুগম ও সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার দুপুর ১২টায় ইংরেজি বিভাগের ১৫ ব্যাচের দুই শিক্ষার্থী হীরা মিয়া ও আরমান উদ্দিনের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটলে সংবাদ সংগ্রহের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে যান রুদ্র ইকবাল। সেখানে পেশাগত জায়গা থেকে প্রশ্ন করলে উপস্থিত ছাত্রলীগ কর্মী অমিত সরকার (রসায়ন ১২ ব্যাচ), আসিফ ইনতাজ রাব্বি (গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, ১২ ব্যাচ) সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা তার দিকে তেড়ে আসেন।

পরে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে আসলে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শাখা ছাত্রলীগের ২০১৭ সালে বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহি ও তার অনুসারীরা হুমকি দিতে থাকেন। এসময় রেজা উপস্থিত সংবাদকর্মীদেরকে হুমকি দিয়ে বলেন, 'সাংবাদিকরা এখনও আমাকে চিনে না, আমি কে। সাংবাদিকরা আমাদের কী করবে, দেখে নেব। গুন্ডামির কী দেখছে।


সর্বশেষ সংবাদ