বাস ড্রাইভার-হেলপারদের মারধরের শিকার বেরোবি শিক্ষার্থীরা, মহাসড়ক অবরোধ
বাস ড্রাইভার ও হেলপারের সাথে ভাড়া নিয়ে তর্কাতর্কিতে জড়িয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের একদল শিক্ষার্থী। পরে এক পর্যায়ে এসব শিক্ষার্থীকে মারধররের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগ তুলে কুড়িগ্রাম-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেছে। আজ শুক্রবার রাতে রংপুরের মর্ডান মোড়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী (১৪ ব্যাচ) আলামিন, নয়ন, ফয়সাল, নাহিদ। আহতদের চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার সহপাঠীদের মাঝে জানাজানি হলে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদে কুড়িগ্রাম-রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক, বহিরাঙ্গন কার্যক্রম দপ্তরের পরিচালক, মার্কেটিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সেক্রেটারিসহ পুলিশ প্রশাসন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। হামলাকারীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আহত শিক্ষার্থীর বন্ধুরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আল আমিন মডান মোড় থেকে জয়গীর যাওয়ার জন্য দূরপাল্লার একটি বাসে উঠে। বাসের সুপারভাইজার অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করলে সে দিতে অস্বীকার করে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর পাশে থাকা অন্যান্য স্টাফরাও তার উপর হামলা করে। আহত শিক্ষার্থী আল আমিনকে উদ্ধারের জন্য ৮ থেকে ১০ জন তার সহপাঠী মডার্ণ মোড়ে পৌঁছানো মাত্রই তাদের উপরও অতর্কিত হামলা করে বাস স্টাফ এবং অন্যান্য সহযোগীরা। এ সময় হামলাকারীরা শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ কেড়ে নেয়। পরে আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তারা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
মার্কেটিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শেখ মাজেদুল হক বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমার শিক্ষার্থীরা আহত হোক এমন কোন ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, আহতদের চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমি সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। তারা বর্তমানে সুস্থ রয়েছে।
এ ঘটনায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার ওসি হোসেন আলী বলেন, আমরা দোষীদের গ্রেফতারে আপ্রাণ চেষ্টা করছি। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হবে।