দুই মাসে ২০ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর আকস্মিক মৃত্যু, হারিয়েছে পরিবারের স্বপ্ন-সাহস

গত এপ্রিল ও চলতি মে মাসে মৃত্যুবরণ করা শিক্ষার্থীরা
গত এপ্রিল ও চলতি মে মাসে মৃত্যুবরণ করা শিক্ষার্থীরা  © ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম। পরিবারের ৫ ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় তিনি। তার বাবা পেশায় দিনমজুর। কাঠমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালানো বাবাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা স্বপ্ন দেখতেন, আমিনুল পড়াশোনা শেষ করে সরকারি চাকরিতে যোগদান করবে। পরিবারের বড় ছেলেটি হাল ধরবে পরিবারের। সম্প্রতি স্নাতকের ফল পেয়ে একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি আমিনুলও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন চাকরির পরীক্ষার। আবেদন করেছিলে ৪৫তম বিসিএসেও।

কিন্তু গত ২২ এপ্রিল ঈদ-উল-ফিতরের দিন সকালে তার আকস্মিক মৃত্যুতে সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল তার পরিবারের। এই শিক্ষার্থী এভাবে অকালে ঝরে যাবে, ভাবতেও পারেনি তার পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীরা। আমিনুলের এলাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই সিয়াম মাহমুদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়ি গিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক ছিল আমিনুলের। মৃত্যুর আগের দিন রাতেও বাসার সবার সঙ্গে ঠিকঠাক কথাবার্তা বলেছেন। তবে পরদিন সকালে হঠাৎ মৃত্যু হয় তার। পরিবারের বড় ছেলেকে হারিয়ে পুরো পরিবার এখন দিশেহারা।

আরো পড়ুন: সবাই যাবে বিসিএস পরীক্ষার হলে, ঢাবির সাবেক ছাত্র নাঈম যাবে কবরে

দুই মাসে ২০ শিক্ষার্থীর মুত্যু। মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৯ জন, স্ট্রোকসহ শারীরিক জটিলতায় মারা গেছেন ৭ জন। আর বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৪ জন।

শুধু আমিনুল ইসলাম নয়, গত এপ্রিল ও চলতি মে মাসে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া ২০ শিক্ষার্থী আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ জন; চট্টগ্রাম, জগন্নাথ, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন করে; বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত তিতুমীর কলেজ ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একজন করে শিক্ষার্থী রয়েছেন। 

মৃত্যুবরণকারী এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৯ জন, স্ট্রোকসহ শারীরিক জটিলতায় মারা গেছেন ৭ জন। আর বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৪ জন।

হতাশা কেড়ে নিয়েছে ৯ শিক্ষার্থীর প্রাণ: তুচ্ছ কারণে ভাইয়ের সাথে মনোমালিন্যের জেরে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ মে) আত্মহত্যা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সুমি ত্রিপুরা নামের এক ছাত্রী। এর আগে গত ২০ মে নিজ কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ছাত্র সামিউর রহমান। এ ঘটনার মাত্র তিনদিন আগে নিজ কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল বিভাগের ছাত্র তানভীর ফাহাদ রুমি। সহপাঠীরা বলছেন তারা উভয়ই শিক্ষাজীবন নিয়ে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন।

আরো পড়ুন: তিন দিনের ব্যবধানে রুয়েটের আরেক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

১৮ মে নিজ বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাফি। পরিবারের দাবি প্রেমিকার সাথে বিচ্ছেদের জেরে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন রাফি, আর সেই হতাশা থেকেই বেছে নিয়েছেন আত্মহত্যার পথ।

৯ মে রাজধানীর কলাবাগানের ভাড়া বাসা থেকে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এবং যমুনা টেলিভিশনের নিউজরুম এডিটর কুদরত-ই খুদা হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। গত ২১ এপ্রিল বিকালে বনশ্রীর ভাড়া বাসায় জুবায়ের হোসেন হৃদয় (২৩) নামে অপর এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। পরিবারের দাবি হতাশা থেকেই আত্মহত্যা করেছেন জুবায়ের।

পরীক্ষা দিতে না পেরে ৮ এপ্রিল আত্মহত্যার পথ বেছে নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া সুলতানা নামের এক ছাত্রী। ৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাবিল হায়দার। সেখানে তিনি লিখেছিলেন ‘বিদায়’। এ পোস্টের সঙ্গে ভাঙা ফ্রেমের একটি চশমার ছবি যুক্ত করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরেই মৃত্যুবরণ করেন নাবিল। এর মাত্র দুইদিন আগে ৪ এপ্রিল ফেসবুকে ‘অন্তিম যাত্রার পথে’ শীর্ষক একটি দীর্ঘ পোস্ট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন জাবি ছাত্র আরাফাত রহমান। তিনিও শিক্ষাজীবন সহ ব্যক্তিগত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন।

আরো পড়ুন: নিজ বাসা থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

শারীরিক অসুস্থতায় ৭ শিক্ষার্থীর মৃত্যু: বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় গত দুই মাসে ৭ জন শিক্ষার্থী মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের মধ্যে গত ১৮ মে সকালে স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একাউন্টিং বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. নাঈম হাসান। ২৯ এপ্রিল হঠাৎ খিঁচুনি উঠে অচেতন হয়ে যান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী রাজু ইসলাম। তাৎক্ষণিক ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন তাকে। 

অপারেশন পরবর্তী জটিলতায় ২২ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী রাহিম হোসেন। একইদিন সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম। ১৬ এপ্রিল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সাইন্সে (নিন্স) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শেখ লিমন।  

আরো পড়ুন: ঈদের দিন না ফেরার দেশে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র রাহিম

২০ মার্চ বন্ধুদের সাথে কক্সবাজার ঘুরতে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। ৬ এপ্রিল দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়েন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. হেলাল হোসেন। একইদিন সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ২ এপ্রিল ঘুমের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেন তিতুমীর কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের (২০-২১) সেশনের ছাত্র তৌফিক মোরশেদ অনিক। 

দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ৫ জনের: গত এপ্রিল এবং চলতি মে মাসে সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ৪ জন শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছেন। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মাথায় মারাত্মক আঘাত পেয়ে ১৭ মে মৃত্যুবরণ করেছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী শারমিন সুলতানা। গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে ৬ মে মৃত্যুবরণ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শাওন।

গত ২৪ এপ্রিল বজ্রপাতে মৃত্যুবরণ করেছেন সাতক্ষীরা সদর মহশিন হোসেন সুমন (২৮) নামের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক এক শিক্ষার্থী। সুমন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং এমএ সম্পন্ন করে বিসিএসের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ১ এপ্রিল রাজধানীর খিলক্ষেতে কুড়িল ফ্লাইওভারে 'কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায়' প্রাণ হারান নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাম মাইশা মমতাজ মিম। তিনি ইংরেজি বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন।

আরো পড়ুন: কয়েকটি হাসপাতালে ঘুরে শেষে প্রাণটাই গেল মাভাবিপ্রবি ছাত্রীর

শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতা নিয়ে কাজ করা সংগঠন এন্টি সুইসাইডাল স্কোয়াডের প্রতিষ্ঠাতা কাবিল সাদি বলেন, বর্তমানে অনেকক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে পরিবারের সাথে সন্তানদের একটা দূরত্ব তেরি হয়েছে। তারা নিজের কষ্টের জায়গাগুলো শেয়ার করতে পারছেনা। অনেকসময় পরিবার সন্তানদের ওপর অতিরিক্ত চাপ দিচ্ছে। ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। ফলাফলস্বরূপ হতাশাগ্রস্ত হয়ে অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। এছাড়া অনেকসময় সম্পর্কে জটিলতা এবং বেকারত্বের কারণেও তরুণরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন।

আত্মহত্যা প্রতিরোধের বিষয়ে কাবিল সাদি বলেন, আত্মহত্যা কমাতে হলে সবার আগে পরিবারে সন্তানের শেয়ারিংয়ের জায়গা বাড়াতে হবে। সন্তানের ওপর অতিরিক্ত প্রত্যাশার বোঝা চাপিয়ে দেয়া পরিহার করতে হবে। সন্তানের ভালো লাগা-খারাপ লাগার গুরুত্ব দিয়ে তাদের পাশে থাকতে হবে। শিক্ষকদের এবং গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। কাউন্সিলের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। বিশেষ করে বাবা-মায়েদের বোঝোতে হবে একজন টিনএজার সন্তানের সাথে তারা কিভাবে আচরণ করবেন এবং তাদের সমস্যাগুলো কিভাবে সামাল দিবেন।

“আমাদের যেমন শারীরীক স্বাস্থ্য রয়েছে। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। মন খারাপ হওয়া, হতাশ লাগা এগুলো লজ্জার কিছু নেই। জ্বর হলে যেমন আমরা ডাক্তার দেখাই, তেমনি মন খারাপ হলেও সেটাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাওহিদা জামান বলেন, কোভিডের পর আমাদের সকলের জীবনধারা বদলে গেছে। কোভিডের সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজ করতে হয়েছে। এ কারণে আমাদের মধ্যে একটা যন্ত্রনির্ভরতা সৃষ্টি হয়েছে। যন্ত্রনির্ভর ও ইন্টারনেট আসক্তির ফলে আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। এখন আমাদের পারিবারিক বন্ধন বাড়াতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মনের খবর নিতে হবে, মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। আমার ভালো থাকার উপায় হচ্ছে ঘর, পরিবার ও প্রিয় মানুষ। তাদের সাথে বেশি বেশি সময় কাটাতে হবে। পরিবারের সকলের দায়িত্ব সদস্যদের সময় দেওয়া। তাদের দায়িত্ব খোঁজ খবর দেওয়া। পরিবারের সদস্যদের জীবনে কী চলছে। আমাদের সবাইকে পারিবারিক মেলবন্ধনে ফিরে আসতে হবে। 

তাওহিদা জামান বলেন, আমাদের যেমন শারীরীক স্বাস্থ্য রয়েছে। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। মন খারাপ হওয়া, হতাশ লাগা এগুলো লজ্জার কিছু নেই। জ্বর হলে যেমন আমরা ডাক্তার দেখাই, তেমনি মন খারাপ হলেও সেটাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ