১৫ মে ২০২৩, ১৪:১৮

ইবির ধর্মতত্ত্বে ৪টি বিভাগ, মোট আসন ৩২০

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়  © সংগৃহীত

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য ছিল আধুনিক শিক্ষার সাথে ইসলামি শিক্ষার সমন্বয় করা। যার পরিপেক্ষিতে ধর্মতত্ত্ব অনুষদের মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু হয়। শুধু বাংলাদেশ নয় দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে একমাত্র স্বতন্ত্র থিওলজি ফ্যাকাল্টি, যা অন্য কোন বিশ^বিদ্যালয়ে নেই। গুচ্ছের বাহিরেও নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেবে বিশ^বিদ্যালয়টি। তাই গুচ্ছে না ভর্তির সুযোগ না হলেও আরেকটি সুযোগ সবাই গ্রহণ করতে পারে।

ধর্মতত্ত্ব অনুষদের অধীন চারটি বিভাগ রয়েছে। বিভাগগুলো হলো, আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ, আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ, দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ এবং কলা অনুষদভুক্ত  আরবি ভাষা ও  সাহিত্য।

সিট সংখ্যা
চারটি বিভাগে মোট ৩২০ আসন রয়েছে। প্রতিটি বিভাগে ৮০ জনকে ভর্তি নেওয়া হবে।

পরীক্ষার মানবণ্টন
ভর্তি পরীক্ষার মোট নম্বর ১২০। ভর্তি পরীক্ষার উপর ৮০ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্টের উপর ৪০ নাম্বার। ৮০ মার্কের পরীক্ষা এমসিকিউ পদ্ধতিতে হবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য .২৫ কাটা যাবে।

যেসব বিষয় থেকে প্রশ্ন হয়ে থাকে
আরবি, দাওয়াহ (ইসলামী দাওয়ার নিয়ম-পদ্ধতি), ফিকহ, (ইসলামি আইনশাস্ত্র) , ইসলাম শিক্ষা, ইসলামের ইতিহাস, বাংলা , ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞান থেকে প্রশ্ন হয়ে থাকে।

পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে পরামর্শ
এই ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আপনি স্থানীয় কোচিং সেন্টার থেকে গাইড পড়তে পারেন। যেমন : আল হাদী ভর্তি সহায়িকা, দিগন্ত ভর্তি সহায়িকা, সাকসেস ভর্তি সহায়িকা।  এ ছাড়া এ্যারাবিক ব্যসিক গ্রামার এর উপর ধারণা থাকতে হবে । আরও পড়তে পারেন হতে চাই আলোকিত জ্ঞানী নামক বইটি।

এসব বিভাগে পড়ে যেসব চাকরি করতে পারবেন
এই ফ্যাকাল্টিতে পড়ে আপনি ইসলামীসহ জেনারেল যেকোনো চাকরির আবেদন করতে পারবেন। ইসলামি ঘরানার গুলো আপনার জন্য তো নির্দিষ্ট আছেই। যেমন, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে শিক্ষকতা  এবং মাদ্রাসায় আরবি, হাদিস, তাফসির, ফিকাহ বিভাগে প্রভাষক পদে শিক্ষকতা সহ ইসলামি ফাউন্ডেশন, ইসলামি ব্যাংক  ইত্যাদি ও কর্পোরেট কোম্পানিগুলোতে চাকরির সুযোগ তো আছেই।

তাছাড়া অনার্স ডিগ্রি শেষ করার পরে মধ্যপ্রাচ্য (যেমন, মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়, কাতার বিশ্ববিদ্যালয় তুরস্ক, মালয়েশিয়ার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি সহ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপের সুযোগ রয়েছে।