ইবির ক্যাফেটেরিয়া বন্ধে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
ঈদের ছুটি শেষ করে আবারও ক্লাস-পরীক্ষায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি)। তবে রমজানের আগে বন্ধ হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া এখনও খোলেনি। এটি বন্ধ থাকায় ক্যাফেটেরিয়ায় চায়ের চুমুকে আড্ডা আর গল্পের আমেজের আক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
জানা যায়, পরিচালক না থাকার কারনে বন্ধ রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া। দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির কারনে লোকসানে পড়ছে এখানকার পরিচালক। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ভর্তুকি দেওয়া হয় না। ফলে কেউ লোকসানের ভাগিদার হয়ে ক্যাফেটেরিয়া চালাতে রাজি হচ্ছে না।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতি চর্চার প্রাণ কেন্দ্র শিক্ষক-ছাত্র সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (টিএসসিসি)। ক্লাস-পরীক্ষা শেষে ক্লান্তি দূর করতে শিক্ষার্থীরা চা এবং কফির আড্ডা দিতে চলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে অবস্থিত ক্যাফেটেরিয়াতে। সেই সাথে চলে গানের আড্ডাও। ক্যাম্পাসের বাইরের হোটেলগুলোর তুলনায় এখানে কম মূল্যে ভাল মানের খাবার পাওয়া যায়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকাল ও দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন এখানে। এছাড়াও টিএসসিসিতে অবস্থিত বিভিন্ন সামাজিক ও সাংবাদিক সংগঠনের সদস্যরা এখান থেকে খাবার গ্রহণ করেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে এটি বন্ধ থাকায় বাইরে থেকে তুলনামূলক বেশি দামে খাবার গ্রহন করতে হচ্ছে তাদের। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এটি বন্ধ থাকার আগের মতো শিক্ষার্থীদের কোনও কোলাহল নেই। ক্যাফেটেরিয়ার চেয়ার-টেবিলগুলোতে ধুলার আস্তরণ পড়ে গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ক্লাস-পরীক্ষার ক্লান্তি দূর করতে বন্ধুরা মিলে ক্যাফেটেরিয়ায় এসে চা’য়ের আড্ডা দিতাম। প্রায়ই এখানে সকাল ও দুপুরের খাবার গ্রহণ করতাম। এছাড়াও প্রতিনিয়ত সিনিয়র জুনিয়র মিলে এখানে এসে আড্ডা দিতাম। যার ফলে আমাদের মধ্যে এক ধরনের বন্ডিং তৈরি হতো। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এটি বন্ধ থাকার কারনে আমরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
টিএসসিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল জানান, ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক নেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। যারা পরিচালক হতে আগ্রহী, তাদেরকে আগামী ১৭ তারিখ দুপুর ১২টার মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে অফিসে যোগাযোগ করতে বলেছি। এরপর যাচাই-বাছাই করে পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হবে।