০৬ মে ২০২৩, ০৯:০৩

বিস্ফোরণে দগ্ধ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাওন মারা গেছেন

মেহেদী হাসান শাওন  © সংগৃহীত

রাজধানীর পুরান ঢাকার ধূপখোলা বাজারে রাস্তার গ্যাসলাইন মেরামতের সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শাওন মারা গেছেন। দগ্ধ শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শাওন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। বিস্ফোরনের সময় তিনি ওইখানে বাজার করতে গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। 

শনিবার (৬ মে) সকালে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া।

গত সোমবার (১ মে) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর আসে। অইদিন গ্যাসলাইন মেরামতের সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়েছিলেন শাওন। এছাড়া বিস্ফোরণে আরও আটজন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের। তারা হলেন- মুদি দোকানি আব্দুর রহিম, তার মেয়ে মিম আক্তার ও মিমের ছেলে মো. আলিফ। তাদের ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়‌।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দগ্ধরা ধুপখোলা মাছ বাজারের পাশে বাড়িতে থাকেন। বাড়ির একপাশে মুদি দোকানের সামনের রাস্তায় তিতাস গ্যাস লাইনের মেরামত চলছিল। হঠাৎ সেখান থেকে বিস্ফোরণ হয়। এসময় দোকানে থাকা আ. রহিম, তার মেয়ে ও নাতির শরীরে মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়।

আরও পড়ুন: গ্যাস লাইন মেরামতের সময় বিস্ফোরণ, জবি ছাত্র সহ দগ্ধ আট

আগুনে শাওনের শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে জানা যায়। আর জবি শিক্ষার্থী শাওনসহ দগ্ধ সোহেল, আলী হোসেন, রাশেদ মিয়া, সাহারা বেগম এবং মিজানুর রহমানবে বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

দগ্ধ রহিমের ছেলে মো. আল-আমিন জানান, কয়েকদিন ধরেই তিতাসের লাইন মেরামতের কাজ চলছিল। তবে তারা কোনো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেনি। ঝুকি নিয়ে কাজ করছিল। সকালে সেখান থেকেই এই বিস্ফোরণ হয়।