দায়েরকৃত রিটের বিষয়ে কী বলছে কর্তৃপক্ষ
নির্ধারিত সংখ্যক আসন পূরণ না করেই ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শেষ করায় সাধারণ ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি গুচ্ছভুক্ত (জিএসটি) ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা রিটের কপি গ্রহণ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। রবিবার (৩০ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে রিটের কপিটি হাতে পেয়েছেন বলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন জবি রেজিস্টার প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামান।
এর আগে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী মো. ইমাম হোসেন, এথিক্স অবন্তী খান, মো. ওয়াহিদুর রহমান লিমন এবং শাকিল হোসেন রাতুলের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ বি এম ওয়ালিয়ুর রহমান খান এ রিট দায়ের করেন।
শিক্ষার্থীদের দায়ের করা ওই রিটে বিবাদী করা হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে।
একই রিটে জবাব দিতে হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও জিএসটি গুচ্ছভুক্ত সমন্বিত ভর্তি কমিটির সদস্য সচিবকে।
রিটে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন খালি থাকা সত্যেও মেধাতালিকা অনুযায়ী চূড়ান্ত ভর্তি তালিকা প্রকাশ না করেই ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। জিএসটি ভর্তি পরীক্ষায় ৫১ থেকে ৫৪ নম্বর অর্জনকারী রিটের বাদী চার শিক্ষার্থী এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোটাছুটি করলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের প্রকৃত ফাঁকা আসনের সংখ্যা জানায়নি।
রিটে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এভাবে আসন শূন্য রেখে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমতাবস্থায় বিবাদীদের আগামী সাতদিনের মধ্যে মোট ফাঁকা আসনের সংখ্যা প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।
বাদীরা ফাঁকা আসনে ভর্তির যোগ্য হলে তাদের স্পট এডমিশনের জন্য ডাকতে বলা হয়েছে। অন্যথায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে রিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) রেজিস্টার প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছেন, আমরা গতকাল রিটের কপিটি পেয়েছি। তবে, এর বাইরে তিনি এ নিয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান কি—এমন প্রশ্নে তিনি জানান, এ বিষয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ বক্তব্য জানাবেন।
তবে, নানা মাধ্যমে একাধিকবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।