বেরোবিতে প্রস্তুত হচ্ছে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার পৃথক মাঠ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) কেন্দ্রীয় মাঠ সংস্কার ও খেলার উপযোগী করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শুধু তাই নয়, সেই সাথে আরও দুইটি নতুন খেলার মাঠ প্রস্তুত করার কাজ চলমান রয়েছে। পবিত্র ঈদ উল ফিতরের ছুটি শেষের আগেই শিক্ষার্থীদের জন্য মাঠগুলো খেলার উপযোগী করে তোলার জোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মাঠ প্রস্তুত কাজ শেষ হলে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার পৃথক দুটি মাঠ পাবে ক্রীড়াপ্রেমী শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন উদ্যোগ শরীর চর্চা ও খেলাধুলার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন ক্রীড়া গবেষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নং গেট সংলগ্ন পুলিশ ফাঁড়ির সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ অবস্থিত। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাঙ্গন কার্যক্রম দপ্তরের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় মাঠটি খেলার উপযোগী করতে কাজ করছে শ্রমিকরা।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবন সংলগ্ন মাঠ এবং কেন্দ্রীয় মসজিদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের মাঝখানে অবস্থিত মাঠটিও শিক্ষার্থীদের খেলার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মাঠে খেলোয়াড়দের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা ছিলো না। সেই সমস্যা নিরসনে কেন্দ্রীয় মাঠের সাথেই খেলোয়াড়দের সুপেয় পানির জন্য একটি টিউবওয়েল বসানো হয়েছে।
দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, নামে মাত্র একটি কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ছিলো। যা খেলার জন্য মোটেও উপযোগী ছিলো না। তাছাড়া একটিমাত্র মাঠে ২২টি বিভাগের ক্রীড়া সপ্তাহ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তঃবিভাগ টুর্নামেন্ট লেগেই থাকে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা খেলাধুলার সুযোগই পেত না। খেলার মাঠের দীর্ঘদিনের যে সংকট ছিলো এ দুটি মাঠ প্রস্তুত হলে তা আর থাকবে না।
আরও পড়ুন: বেতন ছাড়াই শিক্ষকতা, চার বছর ধরে নতুন জামা কেনা হয়নি সজীবের।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব মিয়া বলেন, আশা করি সেন্ট্রাল মাঠ সহ আরও দুইটি মাঠের সংস্কার ও নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় মাঠ সংকটসহ নানা সমস্যার সমাধান হবে। তাছাড়া ফুটবল ও ক্রিকেটের জন্য পৃথক মাঠ পাচ্ছি আমরা যার ফলে ক্যাম্পাসে সুস্থ বিনোদনের দ্রুত বিকাশ ঘটবে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী রুবেল হোসেন আদনান বলেন, বিভিন্ন টুর্নামেন্ট সামনে রেখে প্রস্তুতি নিতে শিক্ষার্থীরা মাঠে গিয়ে বিভিন্ন সময় বিড়ম্বনার শিকার হতো। আরো দুটি মাঠ প্রস্তুত হলে আর এরকম বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না। শিক্ষার্থীরা অনায়াসে বিভিন্ন খেলার প্রস্তুতি ও টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারবে।
শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আল হেলাল বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে, তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে বর্তমান প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি খেলার মাঠ সংস্কার করছে। যাতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় আয়োজিত টুর্নামেন্ট সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারে। মাঠ অসমতলের কারণে যেসব দুর্ঘটনা ঘটত তা অনেকটাই কমে যাবে।
বহিরাঙ্গন কার্যক্রম দপ্তরের পরিচালক সাব্বীর আহমেদ চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় মাঠ সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। এছাড়া ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার আলাদা দুটি খেলার মাঠ প্রস্তুত কাজ চলছে।