ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরে উচ্ছ্বসিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা
বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বদাই ক্লাস, পরীক্ষা, আর এসাইনমেন্ট নিয়ে ব্যস্ততাপূর্ণ সময় কাটে শিক্ষার্থীদের। অনেকসময় এসব একাডেমিক ব্যস্ততার কারণে দীর্ঘ কয়েকমাসও পরিবারের কাছে যাওয়ার সময় মেলে না। একারণে ঈদের ছুটি বাড়তি আনন্দ বয়ে আনে শিক্ষার্থীদের জন্য। আর ঈদের ছুটির এই আনন্দ স্পর্শ করেছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও। দীর্ঘদিন পর পরিবারের কাছে ফিরে আনন্দে আত্মহারা তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ঈদের আগে শেষ ক্লাস ছিল বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল)। এরপর থেকেই শুরু হয় শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি। শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বৃহস্পতিবারেই বাড়ির পথে যাত্রা করলেও অনেকে অপেক্ষায় ছিলেন শুক্রবারে নববর্ষ উদযাপনের। নববর্ষ উদযাপন শেষে ১৪ এপ্রিল বিকেলে তারাও যাত্রা করেছেন বাড়ির উদ্দেশ্যে। দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফেরার অনুভূতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির একাধিক শিক্ষার্থী কথা বলেছেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে।
আরো পড়ুন: গুচ্ছ ভর্তির বিজ্ঞপ্তি হতে পারে সোমবার, যে পরিবর্তন আসছে
বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থী ফরমান কবির বলেন,ভর্তি হওয়ার পর এবার ই প্রথম এতদিন একটানা ক্যাম্পাসে ছিলাম। প্রায় ৩ মাস পরে বাড়ি ফিরছি। তাই বাড়ি ফেরায় ভিন্নরকম অনুভূতি কাজ করছে । শহরের জন-জমাট রাস্তা, পেট্রোল পোড়ানো বাতাস দূর্বিষহ করে তুলেছিল আমাকে। বাড়িতে ফিরছি এই আনন্দটা যেনো তাই কয়েকগুণ বেশি মনে হচ্ছে। পরিবার-পরিজন, ছোট্ট ভাইটার হাসিমাখা মুখ বাড়ি ফেরার পথটা যেনো আরও সংক্ষিপ্ত করে দিচ্ছে।
তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া খান বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসার আনন্দটা অনেক বেশি। দীর্ঘদিন বাড়িতে যাওয়া হয় নি, তাই সবার জন্য অনেক খারাপ লাগতো। বাসায় এসে আম্মুকে দেখতে পাওয়ার শান্তিই অন্য রকম।
আরো পড়ুন: ফেল করেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, পোষ্য কোটা বন্ধে নীতিমালা আসছে
তৃতীয় বর্ষের অপর এক শিক্ষার্থী আবু কাওসার বলেন, অনেকদিন হলো বাড়ি যাইনা। দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় ছিলাম ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাবো। ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ৫০০ কি.মি পথ পাড়ি দিয়ে রেলভ্রমণ,বাসভ্রমণ আর নৌভ্রমণ করে পরিবার,আত্মীয়স্বজন, শৈশবের বন্ধুদের সাথে ইদ আনন্দ উপভোগ করব,তাই আনন্দের অনুভূতিটাও একটু বেশি।
স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আশেক ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে ফেরার অনুভূতি একদম আলাদা,বাবা মায়ের সাথে ইফতার করা, সাহরী খাওয়া,ভাইবোনদের সাথে খুনসুটি। সবমিলিয়ে এই গরমেও খুব আনন্দ কাটছে।