বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ২ টাকায় ইফতার 

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ২ টাকায় ইফতার 
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ২ টাকায় ইফতার   © টিডিসি ফটো

বরিশাল শহরে ২ টাকার বিনিময়ে ইফতার বিক্রয় করছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠিত ‘শিক্ষার্থী ও সমাজ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন’ নামের একটি সংগঠন। তারা প্রতিদিন বিকালে বরিশাল শহরে এ ইফতার বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী গাজী হাদিউজ্জামানের প্রতিষ্ঠিত শিক্ষার্থী ও সমাজ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে ২ টাকার বিনিময়ে গত ২৯ মার্চ থেকে প্রতিদিন বিক্রয় করছে। প্রতিদিন প্রায় ৫০ জন মানুষের ইফতার বিক্রয় করে এই ফাউন্ডেশন। এতে সহযোগিতা করছে শিক্ষার্থী ও সমাজ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন অন্যান্য কার্যনির্বাহী সদস্যরা।

মূলত, গরীব, অসচ্ছল ও স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য এ আয়োজন করছে তারা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এখানকার ক্রেতাদের মধ্যে বেশির ভাগই রিকশাচালক, দিনমজুর ও ভিক্ষুক।

খালেক নামের একজন রিকশাচালক জানান, তারা প্রতিদিন আমাদের ২টাকার বিনিময়ে ইফতারে খেজুর, খিচুড়ি ও পানি দিচ্ছে। আমরা খেয়ে তৃপ্তি পাই; আসলে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরা কষ্টে আছি। কিন্তু আমাগো আয় বাড়েনি। তারা বরিশাল শহরে চৌমাথা, রূপাতলিতে বিক্রয় করে। তবে বেশিরভাগ সময়ই চৌমাথায় পাওয়া যায় তাদের।

এই ভিন্নধর্মী উদ্যোগের কারণ জানতে চাইলে শিক্ষার্থী ও সমাজ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠিতা গাজী হাদিউজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থী ও সমাজ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন মূলত দান জিনিসটা রাখতে ইচ্ছুক না। একটি মানুষ তার সাধ্যের মধ্যে পণ্য ক্রয় করে নিবে। সেটা হোক এক টাকা বা দুই টাকা বা সামান্য ক’টাকায়। ধনীরা সন্ধ্যায় ইফতার কিনতে ব্যস্ত থাকে। আর অস্বচ্ছলরা চেয়ে থাকে কখন একজন ইফতারি দিবে। আমরা চাই সেই অসচ্ছল মানুষদের দুই টাকার বিনিময় ইফতার টাকে কিনে নেওয়া নিবে ও মন বড় করে বলতে পারবে আমি ইফতার কিনে খেয়েছি। 

সাধারণ মানুষ ৪৫ টাকার ইফতার মাত্র ২ টাকার কিনে খাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ১৭ তারিখ অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের মাঝে ৭০০/৭৫০ টাকার বাজার দেওয়া হবে মাত্র ১০ টাকায়। হাত পেতে দান নয়, খুব কম মূল্যে ক্রয় করা পণ্য দিয়ে হবে অসচ্ছল পরিবারের ইদের হাসি।

সংগঠনের আয়ের উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, লজিক একাডেমীর বেতনের মাসিক একটা ফান্ড, বিখ্যাত পণ্য সম্ভারের লাভের একটি ফান্ড সহ সাধারণ মানুষের আর্থিক সহোযোগিতায় এই কার্যক্রম   পরিচালিত হচ্ছে। তবে আমরা আর্থিক সহযোগিতা পেলে আরও বৃহৎ পরিসরে এই ধরনের কাজ করতে পারব।


সর্বশেষ সংবাদ