রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ইফতারের আমেজ
বন্ধুদের সাথে আড্ডা, একসাথে ঘুরাফিরা শব্দগুলো যেনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু রমজান মাসে সারাদিন রোজা রেখে ক্লাস, টিউশনের পর ক্লান্তিতে হয়ে উঠে না শিক্ষার্থীদের আড্ডা-ঘুরাঘুরি। কিন্তু আড্ডা-ঘুরাঘুরির আনন্দ তো বাদ দিতে পারেনা তারা। তাই তো ইফতারের সময়টাই হয়ে উঠে তাদের সেই আড্ডার সময়।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ও দিন-দিন বেড়েই চলছে ইফতারের আমেজ। বিভিন্ন ক্লাব, সংগঠন ছাড়াও ডিপার্টমেন্ট বা ব্যাচভিত্তিক ইফতার কয়েকজন বন্ধু মিলে ইফতার এসব তো চলছেই। নিজেদের ক্যাম্পাস না থাকলেও অস্থায়ী একাডেমিক ভবন-২ এর মাঠ, গোডাউন মাঠ এসব হয়ে উঠেছে তাদের একত্রিত হওয়ার প্রাণকেন্দ্র।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাব তাদের গভর্নিং বডিকে নিয়ে ইফতার আয়োজন করে একাডেমিক ভবন-২ এর মাঠে। সেই সাথে ইফতার বিতরণ করা হয় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় শিক্ষার্থী কল্যাণ সমিতির শিক্ষার্থীরা একই মাঠে আয়োজন করে ইফতারের।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২য় ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সবাই মিলে ইফতার আয়োজন করে অস্থায়ী একাডেমিক ভবন সংলগ্ন গোডাউন মাঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রংপুর বিভাগের শিক্ষার্থীরা সবাই একত্রিত হয়েছে গোডাউন মাঠে।
আরও পড়ুন: ছুটিতে বাড়ির পথে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা, হলে কষ্টের ঈদ তাদের।
এভাবে প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হিড়িক পড়ছে ইফতারের সময় একত্রিত হওয়ার এবং নিজেদের মধ্যে গল্প-আড্ডার মধ্যে দিয়ে আনন্দ করার। বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শিক্ষার্থী কল্যাণ সমিতি ছাড়াও প্রতিনিয়ত ই বন্ধুদের সাথে একসাথে বসে ইফতার চলছে। আর সেই সাথে চলছে আনন্দ আড্ডার ছড়াছড়ি।
এ বিষয়ে একজন শিক্ষার্থী জানান, পরিবার ছাড়া রমজানে এখানে একা থাকছি, ইফতার করছি খারাপ লাগছে। কিন্তু বন্ধুদের সবার সাথে বসে একসাথে ইফতার করতে পারায় সে খারাপ লাগাটা অনেকটাই কম অনুভূত হয়। সবার সাথে একসাথে গল্প-আড্ডায় অনেক আনন্দও লাগে।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় ক্লাসের বাইরে শিক্ষার্থীদের তেমন কোন আড্ডা, গল্প করার দৃশ্য দেখা না গেলেও এই রমজানে প্রতিদিন সবাই একত্রিত হয়ে এভাবে ইফতারের মধ্যে দিয়ে যেনো প্রাণচাঞ্চল্য হয়ে উঠলো রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়।