গুচ্ছের পক্ষে মত দেওয়ায় উপাচার্যের সামনেই জবির অধ্যাপককে মারধর
গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার পক্ষে মত দেওয়ায় উপাচার্যের সামনেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক অধ্যাপক মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষক সমিতির দুই নেতাসহ কয়েকজন শিক্ষক তাঁর ওপর চড়াও হন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সভায় এ ঘটনা ঘটে।
হেনস্তার শিকার হওয়া শিক্ষক ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কাদের। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া এবং ভর্তি পরীক্ষা কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় গুচ্ছে থাকার পক্ষে মত দেন অধ্যাপক কাদের।
গুচ্ছের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার আগেই কমিটি গঠন করা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অধ্যাপক কাদের। এ নিয়ে তার সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা শুরু করেন কয়েকজন শিক্ষক। এক পর্যায়ে শিক্ষক সমিতির নেতাসহ কয়েকজন অধ্যাপক কাদেরকে মারধর করেন। উপাচার্য ও ট্রেজারার তাঁদের শান্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে সভাকক্ষে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ গায়েব করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
অধ্যাপক কাদের বলেন, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আমি ভিন্নমত দিয়েছি। ন্যায্য কথা বলেছি বলেই আমার গায়ে হাত তোলা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি আইনি পদক্ষেপ নেব। শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক নূরে আলম আব্দুল্লাহ বলেন, বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে রাজি না। তবে ভালো কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান বলেন, মারামারির ঘটনা ঘটেনি। তিনি উত্তেজিত ছিলেন, বসতে চাচ্ছিলেন না। কয়েকজন তাঁর ঘাড়ে চাপ দিয়ে বসিয়েছেন। বিষয়টা মিটমাট হয়ে গেছে। আমরাও দুঃখ প্রকাশ করেছি। তিনিও স্যরি বলেছেন বলে জানান তিনি।
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল্লাহ মাসুদ বলেন, ‘শিক্ষকদের মধ্যে এমন আচরণ তিনি করতে পারেন না। তাকে বোঝানো হয়েছে, মারধর করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক বলেন, যা ঘটেছে, শিক্ষকদের কাছ থেকে তা কাম্য নয়। সভায় একজন সদস্যেরে পক্ষে-বিপক্ষে কথা বলার অধিকার আছে। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এমন একটা ঘটনা ঘটবে, কাম্য ছিল না। এ জন্য তিনি লজ্জিত ও মর্মাহত বলে জানান।