দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে উপাচার্যদের আহবান
দেশি-বিদেশি একটি সংঘবদ্ধ চক্র দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন চক্রান্তে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করছে। যারা স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের দিনেও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের প্রচেষ্টা চালায় তাদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই। দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে সকলকে কাজ করতে হবে।
শনিবার (১ এপ্রিল) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালযয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাবিবুর রহমান এবং পরিষদের কোষাধ্যক্ষ শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘বিদেশি কিছু রাজনীতিক ও কূটনীতিকদের স্বাক্ষর সম্বলিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেশীয় গণমাধ্যমে অতিরঞ্জন ও মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ও সামাজিক পরিমণ্ডলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। যা দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করা ও আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করার সামিল। এসব প্রয়াস অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত।’’
বিবৃতিতে উদ্বেগ জানিয়ে বলা হয়, ‘‘দেশি-বিদেশি একটি সংঘবদ্ধ চক্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়- এমন চক্রান্তে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করছে। আন্তর্জাতিক একটি চক্র এবং তাদের মদদপুষ্ট গণমাধ্যমের এরূপ হীন চক্রান্তের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই। আমরা মনে করি, যারা স্বাধীনতা দিবসে উদযাপনের দিনেও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের প্রচেষ্টা চালায় তাদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই। তারা জাতীয় নির্বাচনে মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা এবং অর্থনৈতিক মুক্তি সংহত হবার পথে বিঘ্ন করার চেষ্টা করছে বলে আশঙ্কা করছি।’’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘‘সব মহলকে পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হবে এবং বস্তুনিষ্ঠতা রক্ষা করতে হবে। আন্তর্জাতিক ও কূটনৈতিক মহল স্ব স্ব দায়িত্বের বিষয়ে যত্নবান হবে। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এবং দেশের মানুষের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি হয়; এরূপ কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখবে। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশ বর্তমানে এগিয়ে যাচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত রাখার মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তবুদ্ধি চর্চার সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে বলে আমাদের দৃঢ় আশাবাদ। সংশ্লিষ্ট সকলকে স্ব স্ব কাজে পেশাদারিত্ব বজায় রাখা, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ উপস্থাপন এবং সততা ও নিষ্ঠার সমাজ তৈরিতে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত রাখার আহ্বান জানাই। বাংলাদেশ অদম্য গতিতে, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মৌল চেতনায় পুনরুজ্জীবিত হয়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি নিশ্চিত করবে-এটিই বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের গভীর আশাবাদ।