৩০ মার্চ ২০২৩, ২০:২৩

প্রতিবাদে মুখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান কুবিসাসের

সাংবাদিক শামস গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মুখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান কুবিসাসের  © টিডিসি ফটো

প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (কুবিসাস) সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুখে কালো কাপড় বেঁধে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। 

এসময় সাংবাদিকদের হাতে ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা চাই’, ‘সাংবাদিকতা কোনো অপরাধ নয়’, আমাদের জবানের স্বাধীনতা লাগবে’, ‘শামসের মুক্তি চাই’ ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চাই’ ইত্যাদি স্লোগান লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে দেখা যায়।

শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচী শেষে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মুহা. মহিউদ্দিন মাহি বলেন, সংবাদ প্রকাশ করে শামস কোনো অপরাধ করেনি। তাঁকে অন্যায়ভাবে আটক সাংবাদিকতায় কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মুক্ত সাংবাদিকতা চর্চায় ইতোমধ্যে বিষফোঁড়া হয়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করে এ আইনে এখন পর্যন্ত আটক সকল সাংবাদিকের মুক্তি দাবি করেছেন কুবিসাস সভাপতি।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ইউসুফ আকাশ বলেন, দেশের উন্নয়নে বাক-স্বাধীনতাও গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীন দেশে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে আটক কখনো ভালো কিছুর ইঙ্গিত দেয় না। অবিলম্বে সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে মুক্তি দিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হোক।

প্রসঙ্গত, গতকাল ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে সংবাদ প্রকাশের জেরে বুধবার (২৯ মার্চ) রাতে দৈনিক প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার শামসুজ্জামানের নাম উল্লেখ করে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন আব্দুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক নামে এক ব্যক্তি।

একই দিন গভীর রাতে তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন ঢাকা মহানগর উত্তর ১১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া। এতে আসামি করা হয় প্রথম আলো সাভার প্রতিনিধি শামসুজ্জামানকে।

এখন পর্যন্ত এ মামলায় আটক করার ৩৫ ঘণ্টা পর আদালতের মাধ্যমে প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার শামসুজ্জামান শামসকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দিনভর পুলিশি প্রহরা ছিল দেশের শীর্ষ জাতীয় দৈনিকটির কার্যালয়ে সামনে। তবে, ইফতারের আগে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সে নিরাপত্তা প্রহরা।