শিক্ষকদের সঙ্গে বাজে আচরণ ছাত্রলীগের, ভিডিও করায় সাংবাদিককে মারধর
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শিক্ষকদের সঙ্গে বাজে আচরণ ও বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ার ভিডিও ধারণ করার চেষ্টা করলে এক সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সাংবাদিক সমিতির অর্থ সম্পাদক এবং দৈনিক আমার বার্তা পত্রিকার ক্যাম্পাস প্রতিনিধি অপূর্ব চক্রবর্তীকে পেটান ছাত্রলীগের ২০-২৫ জন নেতাকর্মী। রোববার (২৬ মার্চ) পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে অনুষ্ঠান চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের ব্যানারে ছাত্রলীগের কারো নাম না থাকায় এ নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে এবং বাক বিতর্কন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এ সময় অপূর্ব চক্রবর্তী সেটা ভিডিও করছিলেন। তখন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জুনায়েদ, মো. সাইদুল ও ছাত্রলীগ কর্মী আলভী দেখে ফেলেন এবং হাত থেকে ফোন কেড়ে নেন।
এরপর তাদেরর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ২০-২৫ জন নেতাকর্মী সাংবাদিক অপূর্ব চক্রবর্তীর ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি চড়, ঘুষি ও থাপ্পড় মারতে থাকে। এতে অপূর্ব আহত হন। পরে তাকে পা ধরে মাফ চাইয়ে মোবাইল ফোন ফেরত দিলেও তার সাংবাদিকতার পরিচয়পত্র নিয়ে যায়। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানা যায়নি।
এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার রাহাত মোড়ল বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি এখনো কিছু জানি না। যারা মেরেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যক্তির দায় কখনো সংগঠন বহন করবে না। যে অপরাধী তার অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত।
কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিক বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এমন যদি কেউ করে থাকে তাহলে অবশ্যই তার শাস্তি হবে।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতি (সোকসাস) ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ অন্যান্য ক্যাম্পাসের সাংবাদিক সংঘটনগুলো। সেইসঙ্গে ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত উপযুক্ত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিককরা।