পরীক্ষা দিতে চান বারবার ফেল করা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের ফেল করা শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশনের দুই বছর বাড়িয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে বারবার পরীক্ষা দিয়েও ফেল করার প্রতিকার চেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০-১১, ২০১১-১২, ২০১২-২০১৩, ২০১৩-২০১৪ এবং ২০১৪-১৫ সেশন এই দাবি তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী আমিরুল ইসলাম বলেন, করোনা মহামারির মতো বিপর্যয়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই আর্থিক ও মানসিক চাপের মধ্যে থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেও উত্তীর্ণ হতে পারিনি। করোনার কারণে ২০২০ ব্যাচের পরীক্ষার্থীদের অটোপাস দেয়া হয়েছে এবং অন্যান্যদের সিলেবাস শর্ট করে দিয়েছে। আবার যারা অনার্স ও ডিগ্রি নতুন ভর্তি হয়েছে তাদেরও অটোপাস দিয়েছে। সেখানে আমাদের আইন করে রেজিস্ট্রেশন নবায়নের মাধ্যমে পরীক্ষার অংশগ্রহণের সুযোগ বাতিল করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০-১১, ২০১১-১২, ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪ এবং ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী এক বা একাধিক বিষয়ে কোর্সে ‘এফ’ গ্রেড বা অনুপস্থিত আছে এবং যাদের রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ করোনার পরপরই শেষ হয়ে গেছে তাদের আর কোনো পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়নি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। যার কারণে আমরা এত বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেও অনার্স ও ডিগ্রির শিক্ষার্থীরা সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারছি না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৭ কলেজকে নবায়নের সুযোগ দেয়া হয়েছে, তাহলে আমাদের কেন সুযোগ দেয়া হচ্ছে না? শিক্ষা আমার অধিকার, তাহলে আমরা কেন আর কোন সুযোগ পাবো না। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাছে আমাদের দাবি রেজিস্ট্রেশন নবায়নের মাধ্যমে আমাদের পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ করে দেয়া হোক।