প্রক্টরিয়াল বডির গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার সহকারী প্রক্টরের
সম্প্রতি নিয়ম ভঙ্গ করে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়ায় আলোচনায় আসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সহকারী প্রক্টর অরূপ বড়ুয়ার স্ত্রী অভি বড়ুয়ার নাম। এবার সেই অরূপ বড়ুয়ার নামের পাশে যুক্ত হলো আরেকটি অভিযোগ। স্বামী সহকারী প্রক্টর অরূপ বড়ুয়াসহ প্রক্টরিয়াল বডির গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন অভি বড়ুয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে সহকারী প্রক্টরের ব্যক্তিগত কাজে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে চবির রেলক্রসিং এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির গাড়িতে দেখা যায় অরূপ বড়ুয়ার স্ত্রী অভি বড়ুয়া ও তার মেয়েকে। সঙ্গে ছিলেন অরূপ বড়ুয়া নিজেও। পরিবারের কাজে ব্যবহার করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি। বিষয়টি নজরে পড়েছে শিক্ষার্থীদের।
প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গাড়িতে প্রথমে সহকারী প্রক্টর অরূপ বড়ুয়া স্যারের স্ত্রী অভি বড়ুয়াকে দেখে আমি চিনতে পারি। সঙ্গে উনার মেয়েও ছিলো। শেষে দেখলাম উনিও আছে। সম্ভবত উনারা রেলক্রসিং এলাকা থেকে বাজার-সদাই করছিলেন তখন। এমনকি আগেরদিনও (১৫ মার্চ) আমি উনাকে দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেইট থেকে প্রক্টরের গাড়ি নিয়ে গিয়ে উনার স্ত্রীকে নিয়ে আসছে। এ থেকে বোঝা যায় উনারা ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ব্যবহার করেন সবসময়। বেশ কয়েকদিন দেখার পর প্রমাণ হিসেবে গতকাল আমি ছবি তুলে রেখেছি।
এবিষয়ে সহকারী প্রক্টর অরূপ বড়ুয়া বলেন, আমি ব্যস্ত আছি পরে কথা পরে কথা বলবো। কিন্তু পরে পুনরায় যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ব্যক্তিগত কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে চবি প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার বলেন, আমার জানামতে গতকাল রাতে ঐ সময় আমাদের গাড়িগুলো রেলক্রসিংয়ে থাকার কথা না। কারণ গাড়ি নিয়ে আমরা একটা মিটিংয়ে গিয়েছিলাম। আর বিষয়টি আমি এখনো জানি না। কেউ ব্যবহার করছে কি-না, সেটা খোঁজ নিয়ে দেখবো। তবে প্রক্টরিয়াল বডির কেউ এমন কিছু করে না এবং করার কথাও না।
এর আগে গত ১৩ মার্চ অনুষ্ঠিত চবির পালি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় নিয়ম ভঙ্গ করে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয় চবির সহকারী প্রক্টর অরূপ বড়ুয়ার স্ত্রী অভি বড়ুয়াকে। শুধু তাই নয়, পরীক্ষায় বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারা, নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদনের শর্তাবলি পূরণ না করাসহ সার্বিক বিষয়ে পালি বিভাগের সভাপতি ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য শাসনানন্দ বড়ুয়া রুপন এ প্রার্থীর নিয়োগের বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করা সত্ত্বেও চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের উপস্থিতিতে নিয়োগ বোর্ড বিতর্কিত প্রার্থী অভি বড়ুয়াকেই নিয়োগের সুপারিশ করে। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টদের মধ্যে চলছে আলোচনা সমালোচনা।