তথ্য সংগ্রহের সময় লাঞ্ছিত হল প্রভোস্ট, কার্যালয় ভাংচুর ছাত্রলীগের
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জিয়াউর রহমান হলে তথ্য নিতে গেলে হলের প্রভোস্ট সহকারী অধ্যাপক আব্দুল জলিল পাঠানকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এছাড়াও এ ঘটনায় ভাঙচুর করা হয়েছে প্রভোস্টের কার্যালয়ও। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১০ দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার হলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক আব্দুল জলিল পাঠান। এতে আবাসিকতা করার বিষয়টি ওঠে। পরদিন মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের তথ্য নিতে হলের রুমগুলো পরিদর্শনে যান হলের প্রভোস্ট, হাউজ টিউটর ও কর্মকর্তারা। এ সময় তাদেরকে ব্যঙ্গ করে বিভিন্ন কথা বলে ছাত্রলীগ-কর্মীরা। এ ছাড়া ফোন করে ছাত্রলীগ-কর্মীরা অসদাচরণের পাশাপাশি ছাত্রলীগ কর্মীরা এসময় ব্যঙ্গ করে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
এরপর হল থেকে নিচে নামলে প্রভোস্টের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীদের বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। তখন ছাত্রলীগ কর্মীরা প্রভোস্ট কার্যালয় ভাঙচুর করে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রভোস্ট কার্যালয়ের জানালার কাচ ভাঙা পড়ে রয়েছে।
তথ্য সংগ্রহ-কালে হলের প্রভোস্ট আব্দুল জলিল পাঠান, হাউজ টিউটর প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস, হলের উপ-রেজিস্ট্রার তারিক উদ্দীন আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
হল সূত্রে জানা গেছে, হলের মোট সিট সংখ্যা ৩৯৬ টি। এর মধ্যে ৮০ সিটের মতো আবাসিকতা প্রাপ্ত, বাকী সবাই অনাবাসিক।
ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পূর্ব নির্দেশনা ছাড়াই হলে রেড দিয়েছে। হঠাৎ রেড দেওয়ায় অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এ জন্য শিক্ষার্থীরা হল থেকে নিচে নেমে ক্ষুব্ধ হয়ে এমনটি করেছে।
এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট আব্দুল জলিল পাঠান জানান, গতকাল আবাসিক ও অনাবাসিক ছাত্রদের ডাটাবেইজ নিতে গেলে আমাকে লাঞ্ছিত করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা আমার কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে। অন্যায্য, অনৈতিক ও অছাত্র সুলভ আচরণ করেছে ছাত্রলীগ। তবে, এসময় তিনি সাধারণ ছাত্রদের সহযোগিতা পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।
প্রভোস্ট বলেন, গত দশ বছর ধরে শিক্ষার্থীদের কোন ডাটাবেজ নেই। জিয়া হল যেন একটি আবর্জনায় পরিণত হয়েছে। আমি যে কয়দিন দায়িত্বে আছি, নিয়মের মধ্য থেকে কাজ করব। কোন অন্যায় মেনে নেওয়া হবে না।