গুচ্ছে থাকা না থাকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেটে: জবি ভিসি
গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আলাদা ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায়।
সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: ইমদাদুল হক বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা সভায় তাদের বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় আলোচনা করে গুচ্ছে থাকা না থাকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জানা যায়, আজকের একাডেমি কাউন্সিলের বিশেষ সভায় ৬৮ জন সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৫০ জনসদস্য। উপস্থিত সদস্যেদের মধ্যে গুচ্ছের বিপক্ষে ৩৫ জন, ২ জন পক্ষে এবং বাকি ১৩ জন সদস্য গুচ্ছে থাকা না থাকার বিষয়ে কোন মতামত প্রদান করেন নি। সভায় জবি ভিসি অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হকও উপস্থিত ছিলেন।
একাডেমিক কাউন্সিলের একাধিক সদস্যের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গুচ্ছ থেকে বের হয়ে এসে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। উপাচার্য বরাবর লিখিত দাবিও জানিয়েছিলেন তারা।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে আমরা গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাব। তবে ভিসি মহোদয় বলেছেন আজকে আমাদের মতামত সিন্ডিকেটে উপস্থাপন করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে৷ খুব দ্রুত সিন্ডিকেট মিটিং আয়োজন করা হবে।
ভর্তিচ্ছুদের দুর্ভোগ এড়াতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া শুরু হয়। শুরুতে ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তে আসে। পরবর্তীতে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ গুচ্ছে অংশ নেয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শুরু থেকে গুচ্ছ পদ্ধতির নেতৃত্বে ছিল। তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এবার গুচ্ছে না থাকার জোর দাবি তোলে। তাদের মত, এতে তারা কাক্ষিত শিক্ষার্থী পাচ্ছিলেন না।