আবাসিক ব্যবস্থা চেয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি শিক্ষার্থীদের
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ক্রমবর্ধমান পরিবহন ভাড়া থেকে পরিত্রাণ এবং সার্বিক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতে আবাসিক হল নির্মাণের দাবি জানিয়েছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম বরাবর এ সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি জমা দেয় তারা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমদ।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি, বাসা পাওয়ায় জটিলতা এবং বাসা ভাড়া বেশি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও মানসিক সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। যার ফলে পড়াশোনায় মনোনিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী হলের ব্যবস্থা করা বিশেষ প্রয়োজন।
এ নিয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, ভর্তির পর থেকেই শাহজাদপুরে বিভিন্ন হোস্টেল এবং মেস ভাড়া নিয়ে পড়াশুনা করছেন তিনি। কিন্তু বর্তমানে বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মেস কিংবা বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পরিকল্পনা জমা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহ্ আজম বলেছেন, আপাতত আমরা স্থায়ী ক্যাম্পাস সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে ভাবছি। তবে, শিক্ষার্থীদের এ বিষয়টিও আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে। কিন্তু, বর্তমানে ইউজিসি এ ধরনের বিষয়গুলোকে নিরুৎসাহিত করছে এবং নতুন নীতিমালায় ফলে এ ধরনের বিষয়গুলোকে পরিহার করা হয়েছে।
প্রফেসর ড. শাহ্ আজম বলেন, আমাদের ক্যাম্পাস না থাকা সত্ত্বেও ওয়েব-ম্যাট্রিক্স র্যাংকিংয়ে এবার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় স্থানে ছিল; আমরা এ গতিধারা অব্যাহত রেখে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমকে গতিশীল করতে চাই এবং একই সাথে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ সাংস্কৃতিক ধারার বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে জোর দিচ্ছি।
প্রসঙ্গত, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালের এপ্রিলে। বর্তমানে শাহজাদপুরস্থ বিভিন্ন কলেজ ভবনে ক্লাস নেওয়ার মাধ্যমে একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।