শিক্ষক এখনও শ্রেষ্ঠ সম্পদ: ভিসি ড. মশিউর

  © টিডিসি ফটো

শিক্ষকরা এখনো সংকটে সঠিক পথ নির্দেশনার আদর্শ মানুষ বলে মনে করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, শিক্ষক এখনো দেশ গড়ে, সমাজ গড়ে। শিক্ষক এখনও শ্রেষ্ঠ সম্পদ। এখানে যারা উপস্থিত আছেন, তাদের প্রত্যেকের পরিবার আছে। আপনারা শিক্ষকদের কাছ থেকে যেমন মূল্যবোধ শিখেছেন, আপনাদের সন্তানদেরও সেই একই মূল্যবোধে বড় করছেন। শিক্ষকদের কাছ থেকে পাওয়া প্রিয় মূল্যবোধগুলো সন্তানদের শেখানোর মধ্য দিয়ে আদর্শ সমাজ তৈরি হচ্ছে। আমাদের প্রিয় মূল্যবোধগুলো যতবেশি ছড়িয়ে পড়বে, বাংলাদেশ ততবেশি সুন্দরতম হয়ে উঠবে।

আজ শুক্রবার (১০ মার্চ) রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে ঢাকা কমার্স কলেজের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সিলভার জুবলি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য ড. মশিউর রহমান। 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ মানস গঠন করছে উল্লেখ করে উপাচার্য ড. মশিউর রহমান আরও বলেন, সংস্কৃতিতে, সুস্থতায় গৌরবের সঙ্গে বাংলাদেশ মানস গঠন করে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। কারণ আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশপ্রেমিক হয়, দুর্নীতিপরায়ণ হয় না। আমাদের শিক্ষার্থীরা আদর্শিক হয়, মূল্যবোধের হয়। তারা অপসংস্কৃতিতে যায় না। এসব শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশকে ধারণ করে, মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করে। ধারণ করে প্রিয় দেশমাতৃকা এবং পতাকা।

ড. মশিউর রহমান বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীর হাত দিয়ে বাংলাদেশের প্রত্যাশিত সংস্কৃতির বিকাশ ঘটছে। সেই জায়গায় আপনাদের ভূমিকা এবং একত্রিত হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি চাই, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কলেজে সুদৃঢ় অ্যালামনাই গড়ে উঠুক। যার মধ্য দিয়ে ক্রান্তিতে, সংকটে- সবকিছুতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এবং বর্তমান শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে প্রিয় দেশমাতৃকা সুরক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। আমাদের প্রিয় এ সমাজ, এটিকে গড়বার দায়িত্ব সকলের। আপনারই বক্তব্যে বলেছেন- আপনারা ভালো আছেন। কেউ খারাপ থাকলে তাকে টেনে তুলতে হবে। সেটাই বঙ্গবন্ধুর সমতাভিত্তিক সমাজ এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত আকাঙ্ক্ষা। আসুন সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে দেশ গড়ার কাজটি নিজেদের হাতে তুলে নেই। সোনায় মুড়িয়ে গড়ে তুলি প্রিয় স্বদেশ।

ঢাকা কমার্স কলেজের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের চেয়ারম্যান ফারহানা সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান, ঢাকা কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. আবু মাসুদ, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. ওয়ালি উল্লাহ, মো. আখতার হোসেন, মো. ইব্রাহিম খলিল, মাহবুব আলম বিদ্যুত প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ