০৪ মার্চ ২০২৩, ১৯:০৭

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্যাতনকারীদের আজীবন বহিষ্কার চান ফুলপরী

নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন  © সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রী নির্যাতনের সত্যতা পাওয়ায় নির্যাতনকারী পাঁচ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। নির্যাতনের শিকার ফুলপরী খাতুন এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও নির্যাতনকারীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের দাবি জানান তিনি।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী ওরফে অন্তরা, কর্মী তাবাসসুম ইসলাম, ইসরাত জাহান ওরফে মিম, মোয়াবিয়া জাহান এবং হালিমা খাতুন ওরফে ঊর্মি।

আরও পড়ুন: অধ্যাপক তানজীমকে নির্দোষ দাবি সেই শিক্ষার্থীর সহপাঠীদের 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশের পর আজ শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্যসচিব প্রক্টর শাহাদত হোসেনসহ ১১ সদস্য সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সভা থেকে বের হয়ে প্রক্টর শাহাদাত হোসেন বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী অভিযুক্ত পাঁচজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না- এ মর্মে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে তাদেরকে নোটিশ দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতে অ্যালামনাইদের প্রতি আহবান ঢাবি ভিসির 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুন বলেন, যারা আমার সঙ্গে এ রকম খারাপ কিছু করেছে, তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হোক। তার সঙ্গে যেটা হয়েছে, সেটা ফৌজদারি অপরাধ উল্লেখ করে ফৌজদারি মামলার মাধ্যমে নির্যাতনকারীদের সুষ্ঠু বিচার করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান ফুলপুরী।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেউ অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। এটা ব্যক্তির দায়। সংগঠন কখনোই দায় নেবে না।