তিতুমীরে দাম বেড়েছে তোলপাড়ের খাবারের, জানেন না অধ্যক্ষ!
বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বাজারে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। এবার তারই ছোঁয়া লেগেছে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের ‘তোলপাড় ক্যান্টিন’-এ। মুরগি- খিচুড়ি, ডিম- খিচুড়ি, দই-চিড়া থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি খাবারের দাম বেড়েছে ক্যান্টিনটিতে। এতে করে চাপে পড়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। যদিও ক্যান্টিন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও কলেজ অধ্যক্ষ বলছেন, তারা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না।
এর আগে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে দীর্ঘ ১৯ বছর পর ‘তোলপাড় ক্যান্টিন’-এর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর থেকে নানা সমালোচনায় মুখে পড়ে এই ক্যান্টিনের পরিবেশ। বাহিরে থেকে কিনে আনা খাবার দিয়ে ক্যান্টিন চালানো, খাবারের নিম্ন মান, সবশেষে দাম বৃদ্ধি।
ক্যান্টিনটিতে মুরগি-খিচুড়ির দাম ৬০ টাকা থেকে দশ টাকা বাড়িয়ে ৭০ টাকা করা হয়েছে। ডিম খিচুড়ির দাম ৪৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া দই-চিড়া নেওয়া হচ্ছে ৪০ টাকা, বার্গার ৪০ টাকা, স্যান্ডউইচ ৪০ টাকা, গরুর দুধের চা ১০ টাকা।
এই বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফেরদৌস আরা বেগম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ব্যস্ত আছেন আর এই বিষয়ে কথা বলতে চান না তিনি। তাছাড়া দাম বাড়ার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।
তিতুমীর শিক্ষার্থী আজাদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, খাবার দাম বাড়ায় আমরা মধ্যবৃত্ত শিক্ষার্থীরা পড়েছি বিপাকে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যান্টিনগুলোর দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে তাদের খাবারের দাম হাতের নাগালে। কিন্তু তিতুমীর কলেজের ক্যান্টিনে খাবারের দাম বেশি। তাই আমার দাবি খাবারের দাম কমানো হোক এবং শিক্ষার্থীরা যেনো অল্প টাকাই ভালোমানের খাবার পায়। কারণ কলেজ ক্যান্টিনের উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীরা যেনো কম দামে ভালো মানের খাবার খায়।
কলেজ শিক্ষার্থী সাকিব বলেন, ক্যান্টিনে খাবারের দাম আগের চেয়ে বেড়ে যাওয়ায় আমার মতো নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের ছাত্রদের অনেক অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। আরেক কলেজ শিক্ষার্থী মিম জানান, দাম অনুসারে খাবারের মানের দিকে নজর দেওয়া উচিত কতৃপক্ষের।
খাবারের এই মূল্য তালিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্যান্টিনের এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদেরকে মালিক একটি মূল্য তালিকা দিয়েছে। আমারা তা প্রকাশ করেছি। খাবারের মূল্য বৃদ্ধিতে কলেজ প্রশাসনের অনুমতি আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কিছু জানেন না তিনি।