২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:৩৯

গুচ্ছের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সভা ডেকেছে জবি শিক্ষক সমিতি

গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরক্ষার বিষয়ে একমত হয়েছেন উপাচার্যরা। আগামী মাসের শেষের দিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে চায় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি। তবে এতে আপত্তি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতি। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সভা ডেকেছেন শিক্ষকরা।

সভা সূত্রে জানা গেছে, গুচ্ছের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মার্চের প্রথম সপ্তাহে সভা ডাকা হয়েছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির সভায় এ পরিকল্পনা করা হয়েছে। গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরুর পরিকল্পনা আছে। এটি বাস্তবায়নের জন্য মার্চের শেষ দিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

এছাড়া এপ্রিলের শেষ দিকে অথবা মে মাসের শুরুতে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রতিবারই ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নানা সমস্যায় পড়ছি। এ সমস্যা থেকে বের হওয়ার চেষ্টাও করা হচ্ছে। গুচ্ছ নিয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, ক্লাস শুরু করতে সময় লাগছে। সেজন্য জুলাই মাসের মধ্যে ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

তবে সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বক্তব্যে জবি শিক্ষক সমিতি আপত্তি জানিয়েছে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ঢাকা, চট্রগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগরসহ গুচ্ছের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও গুচ্ছে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করেন। জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন পরের বছর তারাও যুক্ত হবে।

এ সময় সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান বলেন, পরবর্তী বছর আমরাও যুক্ত হবো। এ বছর একক পরীক্ষা নিতে চাই। তবে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, গত বছরের ভুলত্রুটি সংশোধন করে গুচ্ছতে থাকতে হবে। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমরা বলেছি, তাহলে একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত হবে।’ জবি শিক্ষক সমিতি আগামী ২ মার্চ সাধারণ সভা ডেকেছে। সেখানে জবির গুচ্ছে থাকার দাবি দাওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করবেন শিক্ষকেরা।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু করতে চাই। এটি বাস্তবায়নে দ্রুত সময়ের মধ্যে সবকিছু শেষ করতে হবে। শিগগিরই সভা করে পরীক্ষার তারিখসহ যাবতীয় বিষয় চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান তিনি। 

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো—জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।