২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:৫৮

ইবি ছাত্রীকে নির্যাতন: তদন্ত প্রতিবেদন দিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আবাসিক হলে এক ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যোলয়ের কমিটি। রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে কমিটির আহ্বায়ক ও আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল প্রতিবেদন জমা দেন।

রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান বলেন, সব পক্ষের সাক্ষাৎকার ও তথ্য-উপাত্ত নিয়ে পর্যালোচনা শেষ হয়েছে। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল সকালে ৫০০৯ নম্বর স্মারকে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

এর আগে শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঘটনার নানা দিক খতিয়ে দেখতে তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনায় বসে তদন্ত কমিটি। তারা অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মার কক্ষে বিষয়টি নিয়ে বসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম এবং সদস্যসচিব একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আলীবদ্দীন খান।

এদিকে নির্যাতনের শিকার ছাত্রীকে আজ রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ক্যাম্পাসে ডেকেছে ছাত্রলীগের গঠিত তদন্ত কমিটি। তবে বাড়ি থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত নিরাপত্তা দিলে তিনি ক্যাম্পাসে আসবেন বলে জানিয়েছেন। তবে ফুলপরীকে আগের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট থেকে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসেন আজাদ।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ দেন ফুলপরী। ১৫ ফেব্রুয়ারি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও নাসিম আহমেদ জয় স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগ থেকে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কামরুল হাসান অনীক। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন– সহসভাপতি বনি আমিন, রাকিবুল ইসলাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন।

র‌্যাগিংয়ের নামে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ইবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা দফতর বরাবর লিখিত অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী দাবি করেন, সানজিদা ও তার সহযোগীরা তাকে র‌্যাগিংয়ের নামে মারধর করেন এবং বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করেন। 

গণমাধ্যমে এ ঘটনা প্রকাশিত হলে হাইকোর্ট রুল জারি করেন এবং বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসনের পক্ষ থেকেও দুটো পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।