বাংলাদেশ পাল্টে গেছে: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, গ্লোবাল ওয়ার্ল্ডে গ্লোবাল সিটিজেন হবে। নবীনবরণের দিনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোনটি বেছে নিবে। বাংলাদেশ পাল্টে গেছে। নতুন কিছুর সঙ্গে যদি নিজেকে না পাল্টাতে পারো, তাহলে সেটি একটি সংকট বয়ে আনতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর উত্তরায় অ্যাপারেল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনোলজির ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, চার বছর তোমরা এই ক্যাম্পাসে পড়ালেখা করবে। এ সময়ের মধ্যে চাইলে দুর্দান্ত কিছু করা সম্ভব, যদি সময়টাকে কাজে লাগাও। চার বছর যদি কাজের মধ্যে কাটাও, সৃজনশীলতা ও মেধা-মনন বিকাশের মধ্যে কাটাও তাহলে তুমি অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ও আত্মপ্রত্যয়ী হবে।
আরও পড়ুন: সমাবর্তন চায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ের আধুনিক বিষয় হচ্ছে ফ্যাশন টেকনোলজি। ফ্যাশনকে আমরা যতোই আধুনিক করি প্রকৃতির অ্যাবসোলিউট রঙের কাছে যাওয়া খুবই কঠিন। আমরা যা কিছু করছি তার সব কিছুই প্রকৃতির মধ্যে আছে। যে রঙে আপনি সাজাতে চান, সৃজনশীলতায় যা কিছু করতে চান—সেটির সবচেয়ে বড় শিক্ষক হচ্ছে আমাদের প্রকৃতি। প্রকৃতি থেকে আপনি অনবরত নিতে পারবেন।
‘‘আর ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি হচ্ছে জরুরি ও সমকালীন বিষয়। আপনি যতোই আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর হবেন, ততবেশি প্রকৃতিকে সুরক্ষা করতে হবে। প্রযুক্তির পূর্ণাঙ্গ বিকাশের স্বার্থে প্রকৃতি সুরক্ষা অপরিহার্য।’’
ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির যেন অপব্যবহার না হয় সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে উপাচার্য বলেন, আমরা যেন ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজিকে এমন জায়গায় না পৌঁছাই যেখানে এর প্রকৃত শিক্ষককে ধ্বংস করা হয়। যদি প্রকৃতি আমাদের হাতে ধ্বংস হয়ে যায়, মনে রাখবেন আমাদের সব সৃজনশীলতার মূল রিসোর্স নিঃশেষ হয়ে যাবে।