২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:২৬

সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া নিয়ে সংশয়

ইবি  © সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে হলে ঢুকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার ১০ দিন পার হলেও এখনো উদ্ধার হয়নি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ। ফলে দেখা দিয়েছে ফুটেজ পাওয়া নিয়ে সংশয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনাস্থল দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ১২টি স্থানে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। এর মধ্যে ডাইনিংয়ের ক্যামেরার মাধ্যমে গণরুমে যাওয়ার-আসার পথ দেখা যায়। কিন্তু ক্যামেরার সে ফুটেজটি পায়নি তদন্ত কমিটি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল বলেন, আমরা হল প্রভোস্টকে বলেছি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সরবরাহের জন্য। তবে তারা এখনো তা পারেনি। তাদের কিছু ডিভাইস প্রয়োজন। তারা চেষ্টা করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহসানুল হক আম্বিয়া বলেন, আমরা আমাদের দুজন টেকনিশিয়ানের মাধ্যমে ফুটেজ উদ্ধারের চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাদের মাধ্যমে এটা এখন সম্ভব না।

কী ধরনের সমস্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বায়োসের ব্যাটারির কিছু সমস্যা। এটা বাইরে থেকে টেকনিশিয়ান নিয়ে এসে এ সংক্রান্ত কাজ করালে ভালো হবে।

আরও পড়ুন: ইডেন কলেজে আবারও ছাত্রী নির্যাতন ছাত্রলীগ নেত্রীর।

তবে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, তদন্ত কার্যক্রম বেশ কিছুটা এগিয়েছে। আশা করি, নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর আমরা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ডেকে রাত ১১টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত নবীন ওই ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধর ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তাবাসসুম। নির্যাতনের পরের দিন ভয়ে ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যান ভুক্তভোগী ছাত্রী।

নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে ভুক্তভোগী জানিয়েছিলেন, ৪ ঘণ্টা ধরে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল দিচ্ছিল আর এর ফাঁকে ফাঁকে শারীরিক নির্যাতন চালাচ্ছিল। নির্যাতনের একপর্যায়ে বিবস্ত্র করে ভিডিওধারণ করা হয়। তখন কাঁদতে কাঁদতে আমি পা ধরে ক্ষমা চাইলেও তারা কোনো কথা শোনেননি। গণরুমে এ সময় উপস্থিত সাধারণ ছাত্রীরাও কোনো কথা বলেননি।

এ বিষয়ে ভুক্তভুগীর বাবা মামলা করলে গত বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আইনজীবীর করা রিটের শুনানি শেষে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এতে একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও একজন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাকে রেখে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসককে তিনদিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন এবং সাত দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।